
রাজউক কর্মকর্তা কর্মচারী চক্রের ছায়ায় ও মদতে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলোই এখন অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই স্থাপনাগুলোই উচ্ছেদের তালিকায় স্থান পাচ্ছে।
স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য এই চক্রটিই মাঝে মধ্যে লোক দেখানো নোটিশ দিলেও উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়নি। বরং উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা করেও আদায় করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। এমন অভিযোগই শোনা যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মুখে।
ভুক্তভুগীরা জানান, যারা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দিচ্ছেন তারাই এক সময় স্থাপনাগুলো নির্মাণের জন্য মদত দিয়েছেন । টাকাও নিয়েছেন। সব জায়গায় তাদের টাকা খাওয়ার পাঁয়তারা।
তবে রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, রাজধানীতে কোন নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণ হবে না। ইতোপূর্বে যারা করেছেন তারা দ্রুত অপসারণ করতে হবে। এর বিকল্প নেই।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব শুশান্ত চাকমা বার্তা২৪কে জানান, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যারা নিয়ম না মেনে গড়ে তোলা স্থাপনার অংশ ভাঙবে না, সে ভবন ১ নভেম্বর থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে। অপসারণ কার্যক্রমের সকল খরচ ভবন মালিককে বহন করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, নির্মাণকাজ শুরুর আগে যথাযথভাবে রাজউক থেকে নকশা অনুমোদন করে নেয়া হয়েছিল। নকশা আকারে প্রস্তার জমা দেওয়ার পরে পরিদর্শক, আইন-কানুনসহ সংশ্লিষ্টরা প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এরপর তারা একটি রিপোর্ট জমা দেন রাজউকে। আবেদনকারীর তথ্য সঠিক হলেই অনুমোদনের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন যে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ, অবৈধ বা নিয়ম বহির্ভূত বলা হচ্ছে এগুলো নির্মাণ শুরু হয়েছিল নিয়মনীতি মোতাবেক। কিন্তু রাজউকের চক্রটি অবৈধ অর্থ আদায় করতে গিয়ে আবেদনকারীকে সুযোগ করে দিয়েছে তাদের দেখানো পথে বা অন্যায় পথে হাঁটার।
রাজউকের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, রাজউকে শুদ্ধি অভিযান শুরু হচ্ছে। যাদের সহায়তায় ও তত্বাবধানে এসব হয়েছে তারা কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। বার্তা২৪