
রাজধানীর মিরপুর সেকশন ১১ এলাকায় টাস্কফোর্স মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট জেসমিন আক্তার ও অথরাইজড অফিসার মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে অভিযান চলে প্রায় রাত ১০টা পর্যন্ত।
অভিযানে আবাসিক ভবনের কারপার্কিং-এ অবৈধ ভাবে বানিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় ব্লক-এ এর ৪ নং সড়কের ১৪ নম্বর হোল্ডিং এ সিরাজউদ্দিন টাওয়ারের ২৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ভবনটির মালিক সপ্তসিন্ধু রিয়েলস্টেট কোম্পানীর মালিক জালাল উদ্দিন। তিনি ২০০৯ সালে অবৈধ ভাবে ভবনের নীচ তলায় ২২ স্কয়ারফিটে ১৩টি দোকান উচ্চ মূ্ল্যে বিক্রি করে। একই ভাবে বেজমেন্টে ১৫টি গোডাউন বিক্রি করে। অবৈধ ভাবে তিনি প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যে দোকান ও গোডাউন বিক্রি করে। এছাড়া ভবনটির ৯ তলা অনুমোদন নিয়ে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১০ তলা তৈরি করে তাও বিক্রি করে।
ভ্রম্যামান আদালত ভবনের নীচতলা ও বেজবেন্টের (কারপার্কিং) উচ্ছেদ করে সিলগালা করে দেয়। এবং আবাসিক ভবনটির কয়েকটি বাণিজ্যিক অফিস দ্রুত সরিয়ে নিতে বলা হয়। এছাড়া আদালতের উপস্থিতিতে ভবনের দোকান মালিকদের কাছে বিক্রি করা সমপরিমান অর্থের চেক নিজ নিজ দোকান মালিককে হস্তান্তনর করেন জালাল উদ্দিন।
অন্যদিকে ইমারাত বিধিমালা লংঘন করায় ভবন মালিক জালাল উদ্দিনকে ২ লাখ টাকা জরিমান অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদন্ডা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাছাড়া অভিযানে পল্লবী এলাকার আর কায়েকটি ভবনের কারপার্কিং ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে ইমারত বিধিমালা সংক্রান্ত আইনি সহযোগিতা করেন সহকারী অথরাইজড অফিসার রঙ্গন মন্ডল ও ইলিয়াস মিয়া, প্রধান পরিদর্শক মশিউর রহমান, পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বাদল, সোলাইমান প্রমুখ। অভিযানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ওয়াসা, বিদ্যুত ও তিতাস গ্যাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।