
এতিমদের ২৪ বছর পর্যন্ত আবাসন সুবিধাসহ কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন আমরা আর এতিমখানা বলি না আমরা বলি ছোটমনি নিবাস। বর্তমানে ছোটমনি নিবাসে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশুদের রাখা হয়। এখন থেকে যেন ২৪ বছর পর্যন্ত এখানে থাকা যায় তার ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকার এতিমদের জন্য ছোটমনি নিবাস প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোটমনি নিবাস নির্মাণ/পুন:নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারি তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের ব্যয় হবে ২৯৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এটা পুরোটাই সরকারি তহবিল। এ প্রকল্পের আওতায় আমরা সারাদেশে ১৯টি শিশু নিবাস করব। বর্তমানে দেশে ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবারে এতিম ও দু:স্থ শিশুদের লালন পালন করা হচ্ছে। আর ৬টি ছোটমনি নিবাসে অভিভাবকহীন এতিম ও দু:স্থ শিশুদের লালন পালন করা হচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন আর আমরা এতিমখানা বলি না, এর নাম দিয়েছি ছোটমনি নিবাস। এখানে ১৮ বছর পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা, তাদের জীবনমান উন্নয়ন করা, শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, তারা যেন প্রশিক্ষিত হয়ে দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে সে ব্যবস্থা করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে নির্দেশনা দিয়েছে ছোটমনি নিবাসে যেন ২৪ বছর পর্যন্ত রাখা হয়। এতে তাদের পড়ালেখাও এ সময় শেষ হয়ে যাবে। তাদের ভালোভাবে বিভিন্ন আইটি প্রশিক্ষণ দেয়া যাবে। তাদের যথাযথ কারিগরিক শিক্ষা দেয়া যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণায়ের আওতায় সমাজসেবা অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে। প্রকল্প এলাকা সারা দেশ। প্রকল্পটি ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মেয়াদকালে বাস্তবায়ত হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ছোটমনি নিবাস এর পরিধি বিস্তৃতি করে পরিত্যক্ত শিশুদের পাশাপাশি ঠিকানাবিহীন, বিপন্ন ও দুদর্শাগ্রস্ত নির্দিষ্ট বয়সের শিশুদের ও রক্ষণাবেক্ষণ, প্রতিপালন ও পুনর্বাসনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী খুব শিগগির ১৮ থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত করার জন্য আর একটি প্রকল্প নেয়া হবে। যাতে তাদেরকে ২৪ বছর পর্যন্ত আমরা দেখাশুনা করতে পারি। গাইড দিতে পারি।