আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
পুরনো সংসদ সদস্যদের ফ্ল্যাট ছাড়ার সুপারিশ

বরাদ্দকৃত ভবনে নিজেরা বসবাস করেন না— এমন আইনপ্রণেতাদের (সংসদ সদস্য) তাদের ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে তাগিদ দিয়েছে সংসদ কমিটি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হবেন, তাদের আবাসন চাহিদার জন্য এ তাগিদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এসব ফ্ল্যাট সংস্কার করে নতুন সংসদ সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করতে কমিটির বৈঠকে সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল সংসদ কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সংসদ সদস্যদের আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখভাল করে থাকে এ কমিটি।

সরকারি দলের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্ব বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাহাবুব আরা বেগম গিনি, পঞ্চানন বিশ্বাস, তালুকদার মো. ইউনুস ও নাজমুল হক প্রধান অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, এ সংসদের মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। পরে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা যাতে সুষ্ঠুভাবে থাকতে পারেন, সেজন্য যেসব সংসদ সদস্য ফ্ল্যাটে নিজেরা বসবাস করেন না, তাদের ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। যাতে ফ্ল্যাটগুলোর সংস্কার কাজ এগিয়ে রাখা যায়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে সংসদ কমিটি একজন মন্ত্রীসহ ৩০ জন সংসদ সদস্যকে সংসদ সদস্য ভবনের ফ্ল্যাট ছাড়তে চিঠি দেয়, এতে সাড়া দেন মাত্র চারজন।

এখনো কতজন সংসদ সদস্য ফ্ল্যাট ছাড়েননি— জানতে চাইলে চিফ হুইপ বলেন, যাদের আমরা একসময় চিঠি দিয়েছিলাম, তাদের মধ্যে মোটামুটি ৬০ শতাংশ সদস্য ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়েছেন। আর সব মিলিয়ে নিয়মিত থাকেন না, এমন সংসদ সদস্য ৩০-৪০ জন হবে।

গত বছরের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার তোড়জোড় হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে রকম না। অনেকেই এখানে থাকেন কম। সেজন্যই বলা হয়েছে, যদি প্রয়োজন না হয় তবে ছেড়ে দিলে আমরা সংস্কার কাজ শুরু করতে পারি।

গত বছর সংসদ সদস্যদের বসবাসের জন্য রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ ও নাখালপাড়ায় ১০টি ভবনে ২৯২টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছে সংসদ সচিবালয়। সংসদ কমিটির প্রাথমিক তালিকায় ৯১টি ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যদের অবস্থান না করার বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে তাদের কাজের লোক, ব্যক্তিগত সহকারী ও ড্রাইভার বসবাস করছেন। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে ৩০ জনের মতো সংসদ সদস্যকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিলের নোটিস দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেসব সংসদ সদস্য তাদের বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাটে থাকেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিলের কথা গত বছরের ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে সংসদ কমিটি। বণিকবার্তা