আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণ, নতুন সম্ভবনা আবাসন খাতে

আবাসন সমস্যা সমাধানে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে সরকারের জারি করা সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ সংক্রান্ত পরিপত্র। বিশেষ করে ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বল্প সুদে গৃহ নির্মাণে ঋণ দেওয়ায় আবাসন খাতে নতুন মার্কেট সৃষ্টি হবে। এতে আবাসন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়বে বলে আশা করছে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন এ সম্ভবনার কথা তুলে ধরেন।

রাজধানীর হোটেল সুন্দরবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) লিয়াকত আলী ভূইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ মোঃ আহকাম উল্লাহ, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী, পরিচালক মোঃ আল আমিন, মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন সিকদার এবং মোঃ জহির আহমেদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি চাকুরিজীবিরা ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ পাবেন। পরিপত্রের আওতায় জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণ নেওয়া যাবে। এ ঋণের মোট সুদহার ১০ শতাংশ। যার মধ্যে ৫ শতাংশ দিবে সরকার। আর বাকী ৫ শতাংশ ঋণ গ্রহীতা পরিশোধ করবে। ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। পরিপত্র জারীর আগে একজন সরকারি কর্মচারী সর্বোচ্চ ঋণ পেতেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। নতুন পরিপত্র অনুযায়ী সরকারের প্রায় ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী গৃহনির্মাণে এ ঋণ সুবিধা পাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে আবাসন শিল্পের নানা অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। পরিপত্রের কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কম সুদে ঋণ পাওয়ার আশায় ফ্ল্যাট ক্রয়ের আগ্রহ বেড়েছে বলেও জানানো হয়। সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর হলে আবাসন খাতে স্থবিরতা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করে রিহ্যাব। খুব দ্রুত এই পরিপত্র কার্যকর হবে এমন প্রত্যাশাও করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোভাবের জন্যই সরকারি কর্মচারীরা এই সুযোগ পাচ্ছেন। “সবার জন্য বাসস্থান” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন এই পরিপত্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সাহসী এবং গতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিমত তুলে ধরা হয়।

সেকেন্ডারি মার্কেট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, সেকেন্ডারি মার্কেট বিষয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে সরকারের সম্মতি পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, দুদক থেকে নতুন ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ কিংবা হয়রানি নাই। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে কিছু প্রশ্ন রিহ্যাবের কাছে এসেছিল। রিহ্যাব একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করে এনবিআর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন, এনবিআর অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চায় না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।