আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
মোহাম্মদপুরে রাজউক নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রাজউকের নকশাবহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণ করছে ডি-বিল্ডার্স অ্যান্ড প্রোপার্টিজ নামের ডেভেলপার কোম্পানি। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি মানছে না রাজউকের নির্দেশনাও। ইচ্ছেমাফিক করছে নির্মাণ কাজ। তবে এ ক্ষেত্রে খোদ রাজউকেরই একটি চক্র কোম্পানিটিকে মদত জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যেন শর্ষের মধ্যেই ভূত।
অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদপুর তাজমহল সড়কে ১৪/৭ এবং ১৪/৮ নং ২টি প্লটের ৫ কাঠা জমিতে ডেভেলপার কোম্পানি ডি-বিল্ডার্স অ্যান্ড প্রোপার্টিজ নির্মাণ কাজ শুরু করে। রাজউকের বিধি মোতাবেক বাউন্ডারি ওয়াল থেকে নির্ধারিত ইমারতের সেটব্যাক পশ্চাদ ২.৩৭ মিটার স্পেস রাখার বিধান থাকলেও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি তা না মেনেই কাজ করছে। বিষয়টি রাজউক জোন-৩ পরিচালক বরাবরে স্থানীয় বাসিন্দা কাজী নিয়াজ মোহাম্মদ লিখিতভাবে আপত্তি জানালে রাজউকের পরিদর্শক বাদল হোসেন ও সহকারী অথরাইজড অফিসার রঙ্গন মণ্ডল ১৩ জুলাই সরেজমিন তদন্ত করে উক্ত প্লটের নির্মাণ কাজ সাময়িক বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দেন।
কিন্তু তাতে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি কোনো কর্ণপাত না করে কাজের গতি আরো বাড়িয়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে রাজউক ১৫ জুলাই বিষয়টির সুরাহার জন্য এবং ২৪ জুলাই চূড়ান্ত নোটিশ জারি করে (স্মারক নং- রাজউক/অ:অ: ৩/১/৩৩.৪৪৩.১৭.৮৪১) এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এর পরও এসব নির্দেশনার কোনো তোয়াক্কা না করে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
এ ব্যাপারে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ডি-বিল্ডার্স অ্যান্ড প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সরোয়ার খালেদের মোবাইলে (নং ০১৭৪৬………২৭) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে ডি-বিল্ডার্স অ্যান্ড প্রোপার্টিজের পরিচালক মো. আনোয়ার খালেদ বলেন, রাজউকের দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা উচ্চ আদালত স্থগিত করায় আমরা রাজউকের দেয়া প্ল্যান মোতাবেকই আমাদের নির্মাণ কাজ করছি।
এ ব্যাপারে রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মো. বাদল হোসেন বলেন, আমরা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত নোটিশ দিলে তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এবং রাজউকের দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাদের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে রিটের বিরুদ্ধে রাজউকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে সমস্ত কাগজপত্র আইন শাখায় পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগকারী কাজী নিয়াজ মোহাম্মদ এ ব্যাপারে বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজউকের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রথমে উদ্যোগী হলেও পরবর্তী সময়ে অদৃশ্য কারণে গাছাড়া ভাব দেখায়। যার ফলশ্রুতিতে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানটি নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করতে পেরেছে। অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাজউকেরই কোনো ব্যক্তি বিশেষ সুবিধা নিয়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করছে।