আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
রাজধানীতে শিক্ষা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ রাজউকের, ভিন্নমত বিশেষজ্ঞদের

ঢাকায় শিক্ষা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ লক্ষ্যে রাজধানীর অভিজাত তিনটি অবাসিক এলাকা গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডিকে বেছে নিয়েছে সংস্থাটি।  যদিও জনবহুল ও যানজটে নাকাল এই নগরে এমন উদ্যোগ ইতিবাচক ফল দেবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  তাদের মতে, আবাসিক এলাকায় শিক্ষা জোন করলে যানজট আরো বাড়বে।

জানা যায়, আগামী ১৫ বছরের জন্য ডিটেইলড এরিয়া প্লানের (ড্যাপ) সংশোধন করছে রাজউক।  সংশোধিত ড্যাপে রাজধানীর কয়েকটি বাছাইকৃত এলাকায় শিক্ষা অঞ্চল নির্দিষ্টকরণের পরিকল্পনা সংস্থাটির।

অন্যদিকে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, ঢাকা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। কাজেই এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব নির্দিষ্ট এলাকায় নেওয়া হলে ওইসব এলাকায় যানজট ও বিশৃঙ্খলা বাড়বে।  ফলে ভোগান্তিতে পড়বে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।  এক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে শিক্ষা জোন করা যেতে পারে।  কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঢাকার বাইরে নির্দিষ্ট জোনে স্থানান্তর করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আবাসিক এলাকাতেই রাখার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্লানিং বিভাগের অধ্যাপক সারওয়ার জাহান বলেন, ঢাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন আবাসিক এলাকাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে- যা যানজট সৃষ্টি করছে।  এসব প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ  কিংবা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে।  এরপরও যদি অবাসিক এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তাহলে শিক্ষা নেওয়ার জন্য তাদের অন্যত্র ছুটতে হবে।  এতেও সমস্যা বাড়বে।

শিক্ষা জোন প্রতিষ্ঠার আগে পরিবহন এবং সঠিক পরিকল্পনা মাথায় রাখাটা খুবই জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সদস্য সচিব ইকবাল হাবিব।  এ বিষয়ে তিনি বলেন, যত্রতত্র এবং অবৈধভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এভং ফুড কর্নার গড়ে ওঠায় রাজধানীর আবাসিক এলাকাগুলো ইতিমধ্যেই তার বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে।  এছাড়া শিক্ষা অঞ্চল  প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ঢাকায় চাহিদামতো খোলা জায়গা পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ।

তবে শিক্ষা জোন নীতি চূড়ান্ত করার আগে বিশেষজ্ঞসহ অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান।  তিনি বলেন, জরিপের মাধ্যমে শিক্ষা জোন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও প্রয়োজনমতো ভূমি খোঁজা হচ্ছে।  চলমান এই জরিপ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।  আমরা মানসম্মত শিক্ষা এবং যথাযথ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্যই চেষ্টা করছি।