আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
শুধুমাত্র দুই মেয়ে রেখে বাবা মারা গেলে সম্পত্তি বন্টনের নিয়ম

মিজানুর রহমান ৪২ বছর বয়সে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল। রেখে গেল স্ত্রী ফারজানা, দুই মেয়ে মিতা ও মোহনা। মিজানুর রহমান কৃষিকাজ করতেন। তার কৃষি ও বসত বাড়ি মিলে প্রায় ৯ বিধা অর্থাৎ ৩০০ শতক জমি ছিল। মিজানুর রহমান মৃত্যুর পর তার ভাই মিথুন রহমান মিজানুর রহমানে স্ত্রী ফারজানাকে বলে যে মিজানুর রহমানের সম্পত্তিতে তাদের কোন অধিকার নেই। মিথুন তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অসহায় ফারজান কি করবে বুঝতে পারে না। সে তার বাবার বাড়িতে ফিরে আসে। ফারজানার বাবা তাদেরকে নিয়ে উকিলের কাছে যান পরামর্শের জন্য। উকিল তাদেরকে উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে অনেক তথ্য দেন।

উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী ফারজানার যেহেতু সন্তান রয়েছে সুতরাং তিনি পাবেন স্বামীর ১/৮ অংশ। এই ক্ষেত্রে স্ত্রী হিসেবে ফারজানা পাবেন ৩০০ শতক জমির মধ্যে (৩০০%৮) ৩৭.৫ শতক।

উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি শুধুমাত্র ২ জন কন্যা সন্তান থাকে তাহলে উক্ত কন্যা সন্তানের প্রত্যেকেই পিতার মোট সম্পত্তির ১/৩ অংশের মালিক হবে। অর্থাৎ পিতার মোট সম্পত্তির তিন ভাগের এক ভাগ করে দুই কন্যাই পাবে। অতএব, ৩০০/ ৩ = ১০০ শতক প্রত্যেক কন্যা পাবে। অর্থাৎ মিতা ও মোহনা উভয়ে তার বাবার অংশ থেকে ১০০ শতক করে জমি পাবে।

এখন জানা যাক মৃত ব্যক্তির ভাই মিথুন রহমান কত অংশ পাবে? মোট সম্পত্তি ৩০০ শতক এর মধ্যে- স্ত্রী———৩৭.৫ শতক ১ম কন্যা—-১০০ শতক ২য় কন্যা—-১০০ শতক = ২৩৭.৫ শতক অবশিষ্ঠ সম্পত্তি ৩০০-২৩৭.৫ =৬২.৫ শতক ভাই পাবে। অথাৎ এই ৩০০ শতক জমির মধ্যে মিজানুর রহমানের ভাই মিথুন সরকার পাবেন মাত্র ৬২.৫ শতক।

কোন কারনে মিজানুর রহমানের বাবা যদি বেচে থাকতেন তবে তার ভাই মিথুন রহমান জমির কোন ভাগ পেতেন না। সেই ক্ষেত্রে এই বাকি জমি পেতেন তার বাবা।

সুত্র -উত্তরাধিকার আইন