আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
হাতিরঝিলে নকশাবহির্ভূত স্থাপনা উচ্ছেদ আপাতত বন্ধ

হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা নিয়ে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে আপাতত এসব স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এসব স্থাপনার পক্ষে করা ব্যবসায়ীদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।

আদালতে আজই রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, ১২ জন ব্যবসায়ীর পক্ষে লিভ টু আপিল করা হয়েছিল। যারা রাজউক থেকে বরাদ্দ নিয়ে ওইখানে ব্যবসা করেন। রাজউক ভাড়া-পজিশন বাবদ এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সমুদয় অর্থ নিয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টের রিটে আমাদের (ব্যবসায়ীদের) পক্ষভূক্ত করা হয়নি। পরে যখন আদেশটি জানতে পারলাম, তখন রাজউকের অ্যালটমেন্ট অর্ডার ও ভাড়ার কাগজপত্র দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে লিভ টু আপিল করেছি।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, অনুমতির পর এর আগে চেম্বার আদালত স্থিতাবস্থা দিয়েছিল। সেটিই কন্টিনিউ করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জারি করা রুলটি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭ দিনের মধ্যে অপসারণের রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।

আদেশের পর মনজিল মোরসেদ ওইদিন জানিয়েছিলেন, লে-আউট প্ল্যানের নির্দেশনার বাইরে কতিপয় অবৈধ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চললেও রাজউক নিষ্ক্রিয় থাকার প্রতিবেদন ১ আগস্ট একটি মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়।

এ রিটের শুনানির পর রুল জারি করে ৭ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রুলে প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে এবং লে-আউট প্ল্যান অনুসারে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টকে রক্ষা করার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আদেশে আদালত রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, হাতিরঝিল থানার ওসি ও প্রজেক্ট পরিচালককে প্রজেক্ট এলাকায় প্রতিনিয়ত মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যেন কেউ লে-আউট প্ল্যানবর্হিভূত স্থাপনা করতে না পারে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাতিরঝিলে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসাকারী আবু বকর মিয়াসহ ১২ জন আপিল বিভাগে আবেদন করেন। জাগোনিউজ