আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
ভাড়া বাকি-নিউ ইয়র্কে একাত্তর টিভি অফিস সীলগালা!

বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাংলা সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বর্ণমালা ও একাত্তর টেলিভিশনের ইউএসএ ব্যুরো অফিসে সীলগালাযুক্ত তালা লাগিয়েছেন স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক বিভাগের প্রধান (ফায়ার মার্শাল)। দীর্ঘ ১১ মাস বাড়িভাড়া না দেওয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে অগ্নিনির্বাপক বিভাগ উক্ত বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেন। এ ঘটনাটি নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের আড্ডা ও চায়ের টেবিলে আলোচনার ঝড় বইছে।এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।

জানা যায়, নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকার ৭২ নম্বর সড়কের ৩৭-৬৬ নম্বর একটি বাড়ির ৩য় তলায় একটি ঘরে দীর্ঘদিন ধরে সাপ্তাহিক বর্ণমালার দপ্তর হিসেবে সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজুর রহমান। কয়েক বছর আগে তিনি একাত্তর টেলিভিশনের ইউএসএ ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পাবার পর থেকে একই অফিসে একাত্তর টেলিভিশনের ইউএসএ ব্যুরো’র কর্মকান্ড শুরু করেন। একই বাড়িতে আবাহনী ক্লাবের দপ্তরও রয়েছে বলে জানা যায়। উক্ত বাড়ির ৩য় তলাটি ভাড়া নেন কামরুজ্জামান বকুল নামে একজন প্রবাসী ব্যবসায়ী। কামরুজ্জামানের ইজারাকৃত ওই বাড়িতে উপ-ভাড়াটে হিসেবে ছিলেন সাপ্তাহিক বর্ণমালার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান। তবে কামরুজ্জামান বকুল না মাহফুজুর রহমান বাড়ির মূল মালিককে ১১ মাস ধরে কে ভাড়া দেননি তা এখনও পরিস্কারভাবে জানা যায়নি।

দীর্ঘদিন বাড়িভাড়া না দেওয়ায় বাড়ির মালিক কয়েক দফায় বাড়ি ছাড়ার জন্য সতর্কীকরণ চিঠি পাঠান। তাতে কোন কাজ না হওয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে গত মাসের শেষ সপ্তাহে স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক বিভাগের প্রধান তাঁর কর্মিবাহিনীকে নিয়ে এসে উক্ত বাড়ির ৩য় তলায় সীলগালা করে তালা লাগিয়ে দেন। এ ব্যাপারে সাপ্তাহিক বর্ণমালার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বাংলা প্রেস’কে বলেন, তাঁর সঙ্গে বাড়ির মূল মালিকের কোন যোগসূত্র ছিল না।

এমনকি তিনি সরাসরি মালিকের কাছে থেকে বাড়ি ভাড়াও নেননি। তাঁর অফিসের নিয়মিত ভাড়া তিনি বাড়ির আসল ভাড়াটে কামরুজ্জামান বকুলের কাছেই পরিশোধ করেছেন। আদালতে মালিক কর্তৃক দায়ের করা মামলায় ভাড়াটে হেরে যাবার খবর পেয়ে তিনি আগেভাগেই তাঁর দপ্তরের মালামাল সরিয়ে ফেলেছেন। মালামাল সরানোর পর ফায়ার মার্শাল উক্ত অফিসে সীলগালাযুক্ত তালা লাগিয়েছেন এবং আগামী সপ্তাহেই তিনি জামাইকা এলাকায় তাঁর অফিস স্থানান্তর করবেন বলে জানান মাহফুজুর রহমান। এ ঘটনাটি এখন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের আড্ডা ও চায়ের টেবিলে আলোচনার ঝড় বইছে।