
সারা দিন দস্যিপনা করে ক্লান্ত হয়ে আপনার কলিজার টুকরো যখন হাত-পা ছুড়ে মুখ উল্টে ঘুমায়, পরম মমতা নিয়ে আপনি হয়তো ওর কপালে চুমু দেন, সন্তানের এমন মায়ামাখা মুখ থেকে চোখ সরানোর সাধ্য আল্লাহপাক কোনো মা-বাবাকেই দেননি। হয়তো ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আপনার চোখ ভিজে ওঠে আনন্দে আর ভালোবাসায়। কিন্তু গেল আগস্টের পর থেকে আপনার শিশুর ঘুমন্ত মুখের দিকে যতবার আপনার চোখ গেছে ততবারই নিশ্চয়ই আপনার মন অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠেছে, রাতভর চোখের পাতা এক করতে পারেননি। কারণ, চোখ বন্ধ করলেই যে চোখের সামনে ভেসে ওঠে রোহিঙ্গীদের ছবি।
রোহিঙ্গাদের শত শত ছবি দেখে চোখে পানি এসে যায়। হৃদয় শুকিয়ে যায়। সন্তানের প্রতি মায়ের যে ভালবাসা ……ছোট ভাই বা বোনদের প্রতি বড় ভা্ইয়ে যে ভালবাসা তা বলার না। কত ছোট একটা ছেলে তার আরো ছোট একজন কে কাধে করে আহ কি কষ্ট করে কথ পথ পাড়ি দিচ্ছে।
মায়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ জীবনবাজি পাড়ি জমাচ্ছে আমাদের এই বাংলাদেশে। রোহিঙ্গারা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমান সংখ্যালঘুদের দীর্ঘমেয়াদে পৈতৃক ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি।বাংলাদেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে চরম অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণেরও বহিঃপ্রকাশ এটি। কক্সবাজার ও আশপাশের সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।