আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
পরিকল্পিত নগরী গড়ায় পাশে থাকবে রাজউক : ড. সুলতান

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নতুন চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) নেতারা। গতকাল রাজউক কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের দফতরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তারা। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় ড. সুলতানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএলডিএ নেতারা আবাসন খাতের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তাকে জানান। এ সময় পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত নগরী গড়ায় রাজউক সব সময় পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেন রাজউক চেয়ারম্যান।

সাক্ষাৎকালে বিএলডিএর মহাসচিব এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসি) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, সংগঠনের সহ-সভাপতি এবং আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এম এনামুল হক এবং ট্রেজারার ও নেপচুন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। বিএলডিএ নেতারা নতুন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে রাজউকের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ড. সুলতান আহমেদ বলেন, মনে করবেন না রাজউক এবং আপনারা আলাদা কেউ। রাজউকের সব কাজে গতি ও স্বচ্ছতা আনতে আমরা শিগগিরই অনলাইনে চলে যাচ্ছি। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরী সব দিক দিয়ে ক্ষতিকর। ঢাকার আশপাশে অনেক স্থানে পরিকল্পনা ছাড়া শুধু রাজমিস্ত্রী নিয়োগ করেই বিল্ডিং তৈরি করে ফেলছেন অনেকে। অথচ পরিকল্পনা করে ভবন নির্মাণ করলে তা অনেক উন্নত হয় ও ভালো হয়। জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়। এটা সবার জন্যই ভালো। পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত নগরী গড়ায় রাজউক আপনাদের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (বসবাসযোগ্য সনদ) নিয়ে আমরা খুবই ঝামেলায় আছি। যারা হাউজিং করছে তারা মোটামুটি এটা গ্রহণ করছে, তবে অন্যরা আবেদনই করছে না। বিএলডিএ নেতারা রাজউক চেয়ারম্যানকে বলেন, আকাশ, বাতাস, মাটি, পানি- সর্বোপরি পরিবেশ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রেখে পরিকল্পিত ও উন্নত নগরী গড়তে আমাদেরকে সব সময় পাশে পাবেন। আমরা পার্টনার হয়ে কাজ করব। আপনারা (রাজউক) নীতিমালা দেবেন, আমরা তা অনুসরণ করব। সিভিল অ্যাভিয়েশেনের আপত্তির কারণে একই এলাকায় কেউ ২৬ তলা ভবন করছে, কেউ ১০ তলার অনুমোদন পাচ্ছে। এ ব্যাপারে একটা পরিপূর্ণ নীতিমালা থাকা দরকার। বিডিপ্রতিদিন