আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
রাজউকের নিয়মভঙ্গ করে ভবন নির্মান: পরীক্ষকের সাইন বোর্ডের অন্তরালে শিক্ষক রমজান আলীর প্রতারণা

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন বাদশা মিয়া রোডের পাশে প্রধান পরিক্ষক ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সিনিয়র সহযোগী শিক্ষকের সাইন বোর্ড ব্যবহার করে সামসুল হক খান স্কুল এর শিক্ষক ও রূপসী পল্লী টাওয়ারের চেয়ারম্যান রমজান আলী দীর্ঘ দিন ধরে ফ্ল্যাট বিক্রির প্রতারণা করে আসছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান পরীক্ষকের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মানুষের মনকে আকৃষ্ট করে ফ্লাট বিক্রির মধ্যে দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। রাজউকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রাজউকের নকশা পরিবর্তন করে ভবন নির্মানের মাধ্যমে ফ্ল্যাট বিক্রির ব্যবসা করে যাচ্ছে প্রতারক রমজান আলী। বিষয়টি রাজউকের সৎ কর্মকর্তাদের নজরে আসাতে অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে ভবন মালিক রমজান আলী। রাজউকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় মনগড়া নিয়মে ভবন নির্মান করে ফ্ল্যাট মালিকদের সাথে চরম প্রতারনা করা হয়েছে বলে এখন ভবন ফ্ল্যাট মালিকদের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। একারনে প্রতারক রমজান আলী রাজউকের সৎ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার জোড় তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল এর শিক্ষক ও রূপসী পল্লী টাওয়ারের চেয়ারম্যান রমজান আলী। নামের পাশে শিক্ষকতার পেশা থাকলেও মুলত সে একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। বিভিন্ন পক্ষকে ম্যানেজ করে সরকারী খাস খতিয়ানের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মান করে চালিয়ে যাচ্ছে ফ্ল্যাট ব্যবসা। শুধু জমি দখলই নয়, ভবন নির্মানে মানা হয়নি রাজউকের কোন নিয়মনীতি। রজমান আলী মাস্টার ১০টি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন তার মধ্যে ক তফশিলের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে ১টি ভবন এ ছাড়া ২ নং ৪ নং ৫ নং ৯ নং ভবন নির্মাণ করা হয়েছে খ তফশিলের জায়গায়। বহুতল ভবনগুলোতে বসানো হয়েছে ডিপ টিউবওয়েল যা ঢাকা ওয়াসার কোন অনুমোদন নাই।

স্থানীয়রা আরো জানায়, ফ্ল্যাট বিক্রি করার জন্য যে সমস্ত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে তার সব কয়টি ভবনই ঝুকিপূর্ণ। কারণ ভবন নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিন্ম মানের সামগ্রী। যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে ফ্ল্যাট ক্রেতাগন। শিক্ষকতার সাইন বোর্ড ব্যবহার করে মানুষের মনের মধ্যে প্রবেশ করে প্রতারণার ফায়দার লুটছেন রমজান আলী মাস্টার।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের যুগ্ম সচিব মোঃ মিজানুর রহমান (মন্টু) এর সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান “রমজান আলী ইতিপূর্বে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান পরীক্ষক দায়িত্ব করে ছিলেন। কিন্তু এটাকে সাইন বোর্ড বানিয়ে নিজস্ব ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে তা অপরাধ বলে গৃহীতি হবে। আর এই সাইন বোর্ড ধারা মানুষের সাথে প্রতারণা করলে তা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কোন দায়-দায়িত্ব নিবেন না। প্রতারণা করলে তা দন্ডনীয় অপরাধ।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্র জানায়, রমজান মাষ্টার খুবই সুচতুর এবং প্রভাবশালী। সে সরকারী খাস জমি দখল করাই তার একমাত্র কাজ। রাজউক ও ভুমি অফিসের লোকজনের সাথে সিন্ডিকেট গড়ে সরকারী খাস জমি দখলে নিয়ে বহুতল ভবন নির্মান করে ফ্ল্যাট ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তবে যারা ভবনের ফ্ল্যাট কিনেছে তারা ভবিষ্যৎ ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়বে। কারন সরকার ঐ সমস্ত জমি নিয়ে গেলে ফ্ল্যাট মালিকরা কোন ক্ষতিপূরন পাবে না। এ বিষয়ে রমজান আলী মাস্টার এর মোবাইলে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।