আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
রাজউকের চূড়ান্ত নোটিশের পরও ভবন নির্মাণ করছেন শেরেবাংলা রোড়ের এক বাসিন্দা

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক মতিঝিল জোন ৫ এর আওতাধীন শেরেবাংলা রোড় রায়ের বাজার গদিঘর, আদাবর মোহাম্মদপুরের ২২৫ নং প্লটের উপর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করা ও নির্মীতব্য ভবনের চতুর পাশে ইচ্ছেমত ডেভিয়েশন করে ভবন নির্মাণ করায় ভবন মালিক মোঃ এ কে এম সামসুদ্দিন (রতন)ও স্ট্যার্ন্ডাড বিল্ডাস লিঃ কোম্পানীর বিরুদ্ধে রাজউকের চুড়ান্ত নোটিশ করা হয়েছে। যার স্বারক নং-৩৩.০৭৯.১৭/১২১ স্থাঃ, তারিখ-০৫/০৮/২০১৯ খ্রিঃ।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা রযায়, উক্ত ভবন মালিক ২২৫ নং প্লটের উপর বেজমেন্ট সংখ্যা ১ বেজমেন্ট ব্যতিত আবাসিকভাবে ১০ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে কাজ প্রায় শেষ করে চলেছেন। জমির আর এস দাগ নং-১৩০৫ ও ১৩০৬. রাজউকের নক্সা অনুমোদন স্বারক নং-জোন-৫/২৫.৩৯.০০০০.১১৬.৩৩. ০৭৯.১৭-১৫১স্থাঃ। রাজউকের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্মিতব্য ভবনের পশ্চিম পাশে প্রায় ৭/৮ফিট পূর্ব পাশে ৩/৪ফিট, দক্ষিন পাশে প্রায় ৭/৮ফিট ডেভিয়েশন করে ও ভবনের উত্তর পাশে পরিমান মত জায়গা না ছেড়ে ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করে চলেছেন। বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাক্ট-১৯৫২ এর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের নির্মান কাজ শুরু করার আগে অবহিত করন ফরম পুরনপূর্বক জানানোর কথা থাকলেও তিনি তা করেনি। এছাড়া ও ভবনের নকশা মোতাবেক ডয়েড রাখেন নাই মর্মে বিগত ২৪/৭/২০১৯ খ্রিঃ তারিখে, ২৫.৩৯.০০০০.১১৬.৩৩. ০৭৯.১৭/১০১ নং স্বারকে যে নোটিশে নকশার ব্যত্যয়কৃত/ব্যতিক্রম অংশ ভেঙ্গে অপসারনের জন্য আদেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এলাকার প্রভাবশালী ও কোন এক ক্ষমতাশীল নেতার আত্মীয় বলে রাজউককে তোয়াক্কা না করে নিজেদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পুনঃ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাই রাজউক তার ভবনের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত নোটিশ জারী করেন। এ ভবন সর্ম্পকে রাজউক মতিঝিল ৫ জোনের দায়িত্বে নিয়োজিত অথরাইজ্ড অফিসার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি দৈনিক মুক্তখবরকে বলেন, ভবন মালিকদের কাছে রাজউক যেন অসহায়,রাজউক থেকে ইমারত পরিদর্শক ভবন পরিদর্শনে গেলে অধিকাংশ ভবন মালিকরা পরিদর্শকদের সাথে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকিও প্রদান করেন। ইমারত পরিদর্শকরা যখন মাঠে কাজ করতে যান তখন তাদের জীবনের কোন নিরাপত্তা থাকে না। ভবনের নকশার অনুমোদনের পর গ্রাহকের হাতে নকশা দেওয়ার পূর্বে নকশার যে ১৪ টি শর্ত রয়েছে তা পূক্ষানু পূক্ষানু ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং ভবন মালিকরা তা মেনে কাজ করবেন বলে রাজউকের সাথে অঙ্গিকার করেন, পরে কাজ করার সময় অমান্য করে কাজ করেন যা স্পষ্ট ভাবে ইমারত নির্মাণ আইনের বর্হিভূত। রাজউকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নকশার বহির্ভূত ভাবে ভবন নির্মান কারী সে যেই হোক না কেন তার ভবনের বিরুদ্ধে বর্তমান উচ্ছেদ নোটিশের প্রক্রিয়াধীন রযেছে।