আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com

আজ শেষ হচ্ছে রিহ্যাবের শীতকালীন মেলা »

আজ শেষ হচ্ছে রিহ্যাবের শীতকালীন মেলা

আজ শেষ হচ্ছে রিহ্যাব উইন্টার ফেয়ার ২০১৯। ৫ দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হয়েছিল ২৪ ডিসেম্বর।

কারও হাতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগসহ একেবারে প্রস্তুত ফ্ল্যাটের পুস্তিকা। কারও হাতে আছে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট। কেউবা আগাম গ্রাহক ধরতে সদ্য অনুমোদন পাওয়া প্রকল্প তুলে ধরছেন গ্রাহকের কাছে। রেডিসন ব্লু হোটেলে রিহ্যাব মেলার তৃতীয় দিনে স্টলে স্টলে দেখা গেছে এ চিত্র। আজ রোববার শেষ হচ্ছে চার দিনের এ মেলা। প্রথম দিন খুব ভিড় না থাকলেও গত শুক্রবার মেলায় গ্রাহকদের সাড়া ছিল বেশি। তৃতীয় দিন শেষে গতকাল শনিবার রিহ্যাব নেতারা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মেলায় সাড়া পাওয়া গেছে বেশি।
মেলার আয়োজক রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব এর সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান এস এম আবু সুফিয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবারের মেলায় ২০০ কোটি টাকার প্লট-ফ্ল্যাট বিক্রির অঙ্গীকার পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলাম। গত তিন দিনে মেলায় গ্রাহকদের সাড়া আমাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। গ্রাহকেরা প্রকল্পের খুঁটিনাটি জানতে চাইছেন।’
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো তিন ধরনের প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে। গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে গত এক-দেড় বছরে ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা প্রকল্প তুলে ধরেছেন তাঁরা। আবার প্রস্তুত প্রকল্পে যেসব ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি সেগুলো প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে বেশি। চলমান প্রকল্পগুলোও গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরছেন তাঁরা।
রিহ্যাব সূত্রে জানা গেছে, মেলায় অংশ নেওয়া ৫৩টি প্রতিষ্ঠান এবার ২০৮টি চলমান প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে। চট্টগ্রামে মেলা হলেও চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকার প্রকল্পেরও প্রচারণা চলছে মেলায়। এ ছাড়া জেলার বাইরে কক্সবাজারেও নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে চট্টগ্রামের অনেক আবাসন কোম্পানি। সেগুলোরও প্রচারণা চালাচ্ছেন তাঁরা। চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকা ও কক্সবাজারে হাতে নেওয়া এ ধরনের প্রকল্পের সংখ্যা ১০৬টি।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, স্টলগুলোতে আবাসন কোম্পানির কর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন, ফ্ল্যাট কেনার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় এখন। কারণ গত দেড় বছরে ফ্ল্যাটের দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। আবার কিছুসংখ্যক প্রস্তুত ফ্ল্যাটে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। চাহিদা বাড়তে থাকায় ফ্ল্যাটের দাম আর কমার সম্ভাবনা নেই বলেও তাঁরা আভাস দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরের রেডিসন ব্লু হোটেলে এ মেলা শুরু হয়। মেলায় ৫৩টি আবাসন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ১২টি নির্মাণ উপকরণ তৈরি ও বিক্রির প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ব্যাংক ও চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। মেলায় একবার প্রবেশের টিকিট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। একাধিকবার প্রবেশের জন্য ১০০ টাকার টিকিট নির্ধারণ করা হয়েছে।