আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
জমির মালিকের সাথে প্রতারণা ডেভেলপার মাশুকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুক্তি অনুযায়ী জমির মালিককে তার প্রাপ্য ফ্লাট বুঝিয়ে না দেয়া। প্রতিশ্রুত নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার না করা এবং জমির মালিককে ক্ষতিপূরন না দেয়ায় রাইয়ান রিয়েল এষ্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাওলানা মাশুক রেজার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়ার আদালত পরোয়ানা জারি করে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) এর দেয়া চার্জশীট গ্রহন করে আদালত এ আদেশ দেন। মামলার বাদি চৌধুরী মাহদী আহামেদের উপস্থিতিতে এডভোকেট ওমর ফারুক আদালতকে বলেন, তদন্তে আসামী মাশুকের বিরুদ্ধে ৩ তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ডেভেলপার কোম্পানী জমির মালিককে তার প্রাপ্য তিনটি ফ্লাটের একটিও বুঝিয়ে দেয়নি। ইচ্ছাকৃত ভাবে নির্মান কাজ শেষ করেনি। জমির মালিককে কোন আর্থিক ক্ষতিপূরন দেয়নি। ডেভেলপার মাশুক তার অংশের ফ্লাট ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। খালি পড়ে আছে জমির মালিকের অংশ গুলো। চুক্তি অনুযায়ী বিএসআরএম অথবা রহিম ষ্টিল রড দিয়ে বাড়ী নির্মাণ করার কথা। অথচ পূর্বাচল নামের একটি অখ্যাত কোম্পানীর নিম্নমানের রড ব্যবহার হচ্ছে বাড়ী নির্মাণে। জমির মালিকের কোন আপত্তি কানে নিচ্ছে না ডেভেলপার মাশুক। শুনানী শেষে আদালত রাইয়ান রিয়েল এষ্টেট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশুক রেজার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকায় পৈত্রিক সূত্রে আড়াই কাঠা জমির মালিক শওকত আহমেদ চৌধুরী। ২০১১ সালে ভবন নির্মাণের জন্য রাইয়ান রিয়েল এষ্টেট এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৪ সালে প্রাপ্য তিনটি ফøাট বুঝিয়ে দেয়ার কথা ডেভেলপার কোম্পানীর। কিনÍ এখন পর্যন্ত একটি ফ্লাটও জমির মালিক শওকত আহমেদ চৌধুরী বুঝে পাননি। দেয়া হয়নি ক্ষতিপূরণ। অথচ ডেভেলপার মাশুক রেজা তার অংশের তিনটি ফ্লাট বিক্রি করে ক্রেতার অনুকূলে রেজিষ্ট্রিও করে দিয়েছেন। ডেভেলপার মাশুকের প্রতারনার শিকার জমির মালিক শওকত আহমেদ চৌধুরী ফ্লাট বুঝে পেতে আইনের আশ্রয়নেন। রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে চীপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট আদালতে মামলা দায়ের করেন তার ছেলে মাহদী আহমেদ। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে। অর্গানাইজড ক্রাইম, পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রাসেল সরজমিন তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি দেখতে পান, ডেভেলপার মাশুক তার অংশের ফ্লাট গুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছেন। এরই মধ্যে বিক্রি করা ফ্লাটে ক্রেতা বসবাস শুরু করেছেন। অথচ জমির মালিকের তিনটি ফ্লাটের মধ্যে দু’টির ছাদ ঢালাই হলেও একটির ছাদ এখনো ঢালাই হয়নি। পিবিআইর দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করে শওকত আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডেভেলপার মাশুকের প্রতারণায় যারা এতদিন সহযোগীতা করেছে সেই “মুখ চেনা” অপরাধীদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। আর কেউ যেন এমন প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন। সবাইকে সচেতন হতে হবে।