আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
করোনার প্রভাব রড-সিমেন্টের বাজারে

করোনার প্রভাব পড়েছে নির্মাণ সামগ্রীর অন্যতম অনুষঙ্গ রড ও সিমেন্টের বাজারে। খুচরা বাজারে প্রতি টনে রডের দাম বেড়েছে ২ হাজার টাকা। বিক্রেতারা বলছেন চাহিদা মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারছে না মিলগুলো। উৎপাদকরা বলছেন, ৮০ ভাগ কাঁচামাল ইউরোপ ও চীন থেকে আমদানি নির্ভর হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে পণ্য উৎপাদন। এ অবস্থায় সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও পণ্য উৎপাদন ঠিক রাখার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

করোনার প্রভাবে কাঁচামাল আমদানি নির্ভর পণ্যগুলোর বাজার যখন বিপর্যস্ত, তখন বাদ যায়নি নির্মাণ শিল্পের অন্যতম অনুষঙ্গ রড সিমেন্টও। দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগই পরে আছে ফাঁকা। এজন্য চাহিদার তুলনায় মিলারদের কম পণ্য যোগান দেয়াকেই দুষছেন বিক্রেতারা। পণ্য সরবরাহ না থাকার অজুহাতে প্রতি টনে ২ হাজার টাকা দাম বেড়েছে বলে জানান তারা।

একজন বলেন, আগের তো আমার এখানে মালের ভরা ছিল। এখন তো আগের অনুপাতে তেমন মাল নেই। তাই দাম একটু বেশি। আর আগের মতো মালও পাচ্ছি না।

আরেকজন বলেন, গত দুইদিনে প্রায় ২ হাজার টাকা বেশি দাম বেড়েছে।

কমেছে উৎপাদনও। উদ্যোক্তারা বলছেন, ইউরোপ এবং চায়না নির্ভর কাঁচামাল আমদানির বাজার। এ কারণেই বিপাকে পরতে হচ্ছে তাদের।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের স্টিল সেক্টরে একটা বড় ধরণের ক্ষতি হতে যাচ্ছে। কারণ ইউরোপ থেকে আমরা যে কাঁচামাল সংগ্রহ করি, সেই কাঁচামাল আমাদের কাছে যারা বিক্রি করে তারা সরে যাচ্ছেন।


শাহরিয়ার স্টিল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ বলেন, অনেক দিন যাবত কন্টেইনার আসছেও না যাচ্ছেও না। যার কারণে ইতোমধ্যে কন্টেইনার ক্র্যাইসিস শুরু হয়ে গেছে।

এ অবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন আর্থিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে সরকারি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দাম যে বেড়েছে, তাদের সরকারে সহযোগিতা করা উচিত। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করে বলা উচিত তোমরা ব্যবসা কর, থেমে থেকো না। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হোক, তোমরা বিশ্বের সব সংগঠনগুলো নিয়ে বসে প্রয়োজনে প্রণোদনা দিয়ে হলেও একটা সমঝোতায় আস।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব মতে, দেশে প্রতিবছর ইস্পাতের চাহিদা আছে ৬৫ থেকে ৭০ লাখ মেট্রিক টন। সময়টিভি