আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দ চায় রিহ্যাব

রিহ্যাব বোর্ড অব ডিরেক্টর্স এর বিবৃতি : সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে মারাক্তকভাবে। যার দরুন, দারুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এই প্রেক্ষাপটে অদ্য ৫ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সেজন্য রিহ্যাব এর পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি। বৈশ্বিক এই সংকটে সারা বিশ্বের জন্য অনুকরনীয় এই আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ একটি সময় উপযোগী এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আমরা রিহ্যাব এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাত। কারণ এই খাতের সাথে অনেকগুলো লিংকেজ শিল্প জড়িত। আবাসন শিল্পের সাথে ৩৫ লক্ষ নাগরিকের কর্মসংস্থান জড়িত। ডেইলি বেসিস এখানে কয়েক লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। আবাসন শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হলে অন্যান্য খাতেও এর মারাক্তক প্রভাব পড়বে। ফলে অর্থনীতিতে সূদর প্রসারি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ২০১১ সালে আবাসন খাতে যে সংকট তৈরি হয় সেটা দুর হতে প্রায় কয়েক বছর লেগে যায়। খাতটি সংকট কাটিয়ে যখন ঘুঁরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তখন আবার করোনা ভাইরাসের আঘাত শুরু হয়েছে। বর্তমান সময়ে যে সংকট তা থেকে রক্ষায় এখনই কার্যকর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এমতাবস্থায় নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবাসন খাতের জন্য খুবই জরুরী।

(ক) অবিলম্বে আবাসন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষনিক সংকট মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উক্ত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

(খ)আবাসন ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ঋণের সুদ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মওকুফ ও সহজ শর্তে পুনঃতফসিল করা খুবই জরুরী দরকার।

(গ)বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘ মেয়াদী সংকট নিরসনে আবাসন শিল্পে ২০০৭-০৮ সালের ন্যায় হাউজিং রি-ফিন্যান্সিং স্কিম পুন:প্রচলন অতি আবশ্যক।

(ঘ)রিহ্যাব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই এবং এনবিআর এর সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের আবাসন শিল্পের সমস্যা সমাধান এবং সার্বিক উন্নয়নের নিমিত্তে গৃহীত সুপারিশসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করছি।

উপরোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আমাদের রিয়েল এস্টেট খাত আবার ঘুঁরে দাঁড়াবে। অন্যান্য লিংকেজ শিল্প আবার গতিশীল হবে এবং বিস্তার লাভ করবে।ফলে অর্থনীতি স্বাবলম্বী হবে। করোনা ভাইরাস সংকট কেটে যাবার সাথে সাথে প্রবৃদ্ধি আবার বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য উপরোক্ত দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা রিহ্যাব এর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাই।

রিহ্যাব বোর্ড অব ডিরেক্টর্স এর পক্ষে

আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল)

প্রেসিডেন্ট, রিহ্যাব