আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
ভাড়া কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ঢাকার বাড়িওয়ালারা

করোনাভাইরাস মহামারিকালে অনেক নিম্নবিত্ত মানুষকে ঢাকার বাইরে গিয়ে কম ভাড়ার বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। তাই ঢাকার বাড়িওয়ালারা খুব কঠিন সময় পার করছেন

সত্তরোর্ধ্ব ফাতেমা কানিজ মূলত বাড়ি ভাড়া থেকে পাওয়া অর্থ নিয়েই তার সাত সদস্যের পরিবার চালান। রাজধানীর জাফরাবাদে চারতলা ভবনের চারটি ফ্ল্যাট ও পাঁচটি টিনের ঘর ভাড়া দিয়ে রেখেছেন তিনি। 

কোভিড-১৯ মহামারিকালে তার একটি ফ্ল্যাট গত তিনমাস ও আরেকটি একমাস যাবৎ খালি পড়ে আছে। একইসাথে, তার টিনের ঘরগুলোর ভাড়াটিয়ারা গত ফেব্রুয়ারি থেকেই কেউই ভাড়া দেননি। আর বাকি ভাড়াটিয়ারা ৭০%-৮০% ভাড়া দিয়েছেন তাকে।

ঢাকা ট্রিবিউনকে প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানিজ বলেন, “কিছুদিন আগেই আমাকে ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে ৯০ হাজার টাকা ইউটিলিটি বিল বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে।”

মিরপুর-১১ এর বাড়িওয়ালা আতিকুন নাহার বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেসব ভাড়াটে থাকতে চান তাদের জন্য অন্তত ২০% ভাড়া কমিয়ে দেবো। কেননা এই মুহূর্তে ভাড়াটিয়া চলে গেলে নতুন ভাড়াটিয়া পাওয়া খুব কঠিন হবে।”

করোনাভাইরাস মহামারিকালে অনেক নিম্নবিত্ত মানুষকে ঢাকার বাইরে গিয়ে কম ভাড়ার বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। যেহেতু পরিস্থিতি দিনদিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে তাই বাড়িওয়ালারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। কেননা এসময়ে কেউই বাসা ভাড়া নিতে চাইছেন না। ঢাকার মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া ও রায়েরবাজার এলাকায় ঘুরে দেখা দিয়েছে অসংখ্য বাড়ির দরজায় টু-লেট নোটিস ঝুলছে। 

অবশ্য অনেক বাড়িওয়ালা তাদের আর্থিক সঙ্কটের অবস্থা নিয়ে কথা বলতে চাননি, তবে অনেকেই তাদের দূরবস্থার কথা বলেছেন। তাদেরকে প্রতিমাসেই ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে, সেখানে বাড়িতে ভাড়াটিয়া থাকুক বা না থাকুক।

রিয়েল এস্টেট পোর্টাল বিপ্রপার্টি’র তথ্যমতে, ঢাকায় এই মুহূর্তে প্রায় দেড়লাখ ভবন রয়েছে। যেখানে ফ্ল্যাটের সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ। যদি প্রত্যেক পরিবারে পাঁচজন করেও সদস্য থাকে সেক্ষেত্রে ৯ লাখ ফ্ল্যাটে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ বাস করে।