আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
‘শোকেস মালয়েশিয়া’য় চলছে সেকেন্ড হোমের নিবন্ধন

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত ‘শোকেস মালয়েশিয়া ২০১৭’ প্রদর্শনীতে সেকেন্ড হোমের জন্য নিবন্ধন চলছে। গার্ডিয়ান নেটওয়ার্ক নামে একটি প্রতিষ্ঠান সেকেন্ড হোমের জন্য নিবন্ধন করাচ্ছে। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সকালে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

গার্ডিয়ান নেটওয়ার্ক জানায়, ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের মধ্যে যাঁদের মাসিক আয় ৩ হাজার ৩০০ ডলার এবং ব্যাংক হিসাবে ১ লাখ ২০ হাজার ডলার রয়েছে, তাঁরা মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্বের সুযোগ পাবেন। এ জন্য মালয়েশিয়ার ব্যাংকে ৫০ হাজার ডলারের একটি হিসাব থাকতে হবে। আর ৫০ বছরের নিচে যাঁরা আছেন, তাঁদের জন্য এর অর্ধেক অর্থ দিতে হবে। গার্ডিয়ান নেটওয়ার্ক নির্বাহী সাদিয়া আফরিন খান বলেন, ‘মালয়েশিয়ার সরকারের সেকেন্ড হোমের বৈধ এজেন্ট এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক শংকর চন্দ্র পোদ্দার। এ জন্য আমাদের মাধ্যমে খুব সহজেই সেকেন্ড হোমে নিবন্ধন করা যাচ্ছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রচলিত নিয়মে দেশ থেকে সেকেন্ড হোম করার জন্য অর্থ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দেশের অর্থ পাচারের ঘটনা তদন্ত করে থাকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তারা বলছে, গত বছর অর্থ পাচারের ৩২টি ঘটনা ধরা পড়েছে এ ইউনিটের তদন্তে, যার মধ্যে মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারের ঘটনাও আছে। বিচারের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে এসব প্রতিবেদন।

মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়ার কর্মসূচি মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে অংশগ্রহণের তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশিরা। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৪৬ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন। মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের সূত্র অনুযায়ী, এই কর্মসূচির আওতায় ২০০২ সাল থেকে এই বছর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় বাড়ি বা সেকেন্ড হোম গড়ার অনুমতি পেয়েছেন ১২৬টি দেশের ৩৩ হাজার ৩০০ মানুষ।

কয়েক মাস আগেও মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিবাসী বাংলাদেশীদের বিদেশে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ থেকে অর্থ প্রেরণের ওপর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ এ বিধিনিষেধ রয়েছে উল্লেখ করে সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক ও সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গণমাধ্যমে পুনঃসতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিধিনিষেধ এড়িয়ে অবৈধভাবে অর্থ প্রেরণে যোগসাজশকারীদের ভূমিকা আইনগতভাবে দন্ডযোগ্য হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।