করোনা ভাইরাসের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে গোটা বিশ্ব। মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন থেকে শুরু করে অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে এ ভাইরাস। থমকে পড়েছে বৈশ্বিক আমদানি -রফতানি। আর এই করোনায় অন্যান্য খাতের পাশাপাশি বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে দেশের আবাসন খাত। গত ১০ বছর অর্থ্যাৎ এক দশকে সবচেয়ে কম বাড়ি বিক্রি হয়েছে এবার।
পাশাপাশি করোনার কারণে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন আবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার পুঁজি হারিয়েছেন। করোনা কালীন সময়ে যার জন্য অনেকেই গ্রামের দিকে চলে গেছেন। ফলের ঢাকায় প্রচুর পরিমাণ বাসা খালি হয়েছে, ম্যাচ খালি হয়েছে, চাহিদা এবং যোগানের ভিতর একটা অসামঞ্জস্যতা তৈরি হওয়ার কারণে অনেকেই ফ্লাট কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না। আবার করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ কত কতদিন থাকবে তা নিয়েও সন্দিহান রয়েছে অনেকে ফলে অনেকেই এই মুহুর্তে এই আবাসন খাতে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন না।
মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের একজন বাসিন্দা জানান যে, আগে তার আড়াই কাঠা জমির দাম ৮০ লক্ষ টাকা বলেছিল। তিনি ৯০ লক্ষ টাকা ঠিক দিয়েছিলেন। এখন সেই জমির দাম বলছে ৬৫ লক্ষ টাকা। ফ্লাট বিক্রি কেনাবেচার সাথে বেশ কয়েকটি মিডিয়ার লোকজন জানান এই মুহূর্তে বেচাকেনার খুবই কম। মূলত করোনা শুরু থেকে এই সমস্যাটা তৈরি হয়েছে। প্রথম দুই মাসে বিক্রির পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। এখন বিক্রি সামান্য একটু হলেও দামের পরিমাণ খুবই কম। যাদের টাকার খুবই দরকার তারাই তুলনামূলক কম দামে ফ্ল্যাট ছেড়ে দিচ্ছেন। একই অবস্থা জমির দামে। এলাকা ভেদে জমির দাম কমেছে কাঠাপ্রতি প্রায় ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।