রিহ্যাব আবাসন মেলা তৃতীয় দিনে এসে জমে উঠেছে। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দুপুরের পর থেকে মেলায় ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে ফ্ল্যাট, প্লট বুকিং ও বাণিজ্যিক জায়গার বুকিং পেতে শুরু করেছে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো। বেশির ভাগ কোম্পানি মোট দামের ৩০ শতাংশ বুকিং নিচ্ছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই জমেছে আবাসন মেলা।
চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দামের অ্যাপার্টমেন্ট ও প্লট নিয়ে এসেছে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলায় রয়েছে মান ও আয়তন যাচাই-বাছাই করে বুকিং দেয়ার সুবিধা। ক্রেতারা কেউ বুকিং দিচ্ছেন, কেউ আবার ঘুরে ফিরে দেখছেন।
[৪] তবে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বলছেন, মেলায় মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে প্লট ও ফ্ল্যাট। তারা বিভিন্ন স্টল খুঁজেও নিজেদের মন মতো ফ্ল্যাট পাচ্ছেন না। যা দেখছেন, তা সাধ্যের বেশি দামের। ভালো জায়গায় একটু বড় ফ্ল্যাট দেখতে গেলে কোটির ওপর দাম পড়ছে। বুকিংয়ের টাকাটাও অনেক বেশি। সরেজমিনে আবাসন মেলা ঘুরে এরকম চিত্র দেখা গেছে।
একাধিক আবাসন ব্যবসায়ি জানান, মেলায় অনেকেই সরাসরি বুকিং দিয়ে কিছু আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আবাসন নিশ্চিত করতে সব কটি প্রতিষ্ঠান মেলা উপলক্ষে বাড়তি ছাড় দিয়েছে। কিস্তিতে ফ্ল্যাট ও প্লট বুকিং দেওয়ার সুবিধাও রাখা হয়েছে। মেলা থেকে সরাসরি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংস মেলায় ২১টি প্রকল্পের শতাধিক ফ্ল্যাট বিক্রয়ের জন্য নিয়ে এসেছে। রাজধানীর গুলশান, বনানী, লালমাটিয়া, পশ্চিম ধানমন্ডি, বসুন্ধরা, মালিবাগ, গ্রিন রোড, ইন্দিরা রোড, মিরপুর কাজীপাড়া ও টিকাটুলীর কে এম দাশ লেনে রয়েছে তাদের প্রকল্প।
[৭] উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরসংলগ্ন এলাকায় ১৩৫ বিঘা জমির ওপর রূপায়ন সিটির নির্মাণকাজ শুরু করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট। প্রকল্পের ধরন প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি। প্রকল্পটিতে ৮০ বিঘার মতো জায়গা খালি রাখা হয়েছে। বাকি জমির ওপর আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। মোট ফ্ল্যাট হবে ১ হাজার ১৪১টি। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণির ক্রেতার উপযোগী ফ্ল্যাট আছে।