আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
চাঁদপুরের দীপু মনির ব্যাপক উন্নয়ন যজ্ঞ : প্রতিহিংসার রাজনীতির অপ্রচার

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টানা এক যুগের অধিক সময়। এই সময় চাঁদপুর জেলায় হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন । এর মধ্যে দৃশ্যমান বড় বড় উন্নয়ন কমকাণ্ড বাস্তবায়ন হয়েছে চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে । এই আসনের টানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি । একজন ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বর্তমান সফল শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চাঁদপুরের রেকর্ড পরিমান উন্নয়ন হয়েছে। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক কমকাণ্ডের কারণে জেলার সকল জনপ্রতিনিধি এবং রাজনীতিক নেতাদের চেয়ে দীপু মনির অবস্থান কেন্দ্রে এবং নিজ এলাকায় অনেক বেশি সুসংহত। এতে আতে ঘা লাগছে বিরোধী দলীয় নেতাদের পাশাপাশি নিজ দলের জনবিচ্ছিন্ন অনেক নেতার। যার কারণে দীপু মনি এমপির প্রচেষ্টায় বড় কোনো উন্নয়ন কমকাণ্ড শুরু হলে পাগলপ্রায় হয়ে যায় ওই অপশক্তি। এরা নানা ভাবে চেষ্টা করে দীপু মনি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যে, কিন্তু বরাবরই ব্যর্থ হয়। কথা গুলো বলছিলেন, চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, সাসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষ।

শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি এবং আন্তরিকতায় চাঁদপুরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হচ্ছে । স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হয়েছে। চাঁদপুর ও হাইমচরে নদী ভাঙ্গন বন্ধ হয়েছে ৯৫ ভাগ। ৪টি সরকারি বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে, রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাকা ভবন হয়েছে, শত শত কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে, কয়েক হাজার মানুষের আশ্রয় হয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পে । বদলে যাওয়ার চাঁদপুরের উন্নয়ন যজ্ঞ বাঁধাগ্রস্ত করার নানা অপচেষ্টা হচ্ছে । সংসদ নির্বাচনের আগে সবাই প্রতিশ্রুতি দিতো নির্বাচিত হলে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বাধীনতার পর প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের আগেই এমন আশ্বাস দেয়া হতো। কিন্তু ভোটে জিতে আর নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কেউ কাজ করে নাই। কিন্তু ডা. দীপু মনি এমপি নির্বাচিত হয়েই নদী ভাঙন বন্ধে স্থায়ী সংরক্ষণ কাজ শুরু করলেন। অথচ এই নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ যখন নির্মাণ হয় তখনও একটি চক্র বাঁধ নির্মাণে লুটপাট হচ্ছে, এ জন্যে তৎকালীন সফল পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির উন্নয়ন যজ্ঞে কালিমা দিতে চেয়েছেন । অথচ এক যুগের অধিক সময় টিকে আছে বাঁধ। কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে যায়নি। স্থায়ী বাঁধের কারণে হাইমচরে ৫ হাজার টাকা শতাংশ জমির দাম হয়েছে ৩ লাখ টাকা। উপকৃত হয়েছে অঞ্চলের মানুষ। জানালেন হাইমচরে নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটোয়ারী ।

চাঁদপুর শহর লাগোয়া বাগাদী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীর তীরে প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজ এর জন্য প্রাথমিক প্রস্তাবিত জায়গার ৫শ গজের মধ্যে বিশাল এলাকা জুড়ে সরকারি মেরিন ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়েছে। সেই সাথে বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। বহু মানুষ বাড়ি ঘর, পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। ভাঙন আতংক বা নদী ভাঙ্গনের আশংকা থাকলে কি গেলো এসব স্থাপন হতো। অবশ্যই হতো না। অথচ অপপ্রচার করা হচ্ছে যে, বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনের হুমকির মুখে প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজের প্রস্তাবিত স্থান চক্রান্তকারীদের আপপ্রচার আর বিভ্রান্তির কারণে গেলো চার বছরেও অধিগ্রহণ হয়নি চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের ভূমি। দৃশ্যমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন তো এখনো অলিক কল্পনা। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী জেলার চাঁদপুর সদর উপজেলাতেই স্থাপন করতে হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই লক্ষ্যে সদর উপজেলার লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নে ফ্লিম সিটির জন্যে নির্ধারিত এলাকায় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্যে প্রাথমিক স্থান নির্ধারণ করে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জায়গা নির্ধারণের পর থেকেই শুরু হয় নতুন করে চক্রান্ত । প্রথমে আপপ্রচার শুরু হয় নদীতে ভেঙ্গে যাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে প্রস্তাবিত এলাকা। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষজ্ঞ টিম জরিপ এবং পর্যবেক্ষণ করে মতামত দেয় প্রস্তাবিত স্থান নদী ভাঙনের ঝুঁকি মুক্ত।

এর পর ওই চক্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান সদর উপজেলার থেকে পরিবর্তন করে বাহিরের অন্য উপজেলায় স্থাপনের জন্যে উঠে পড়ে লাগে। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর এবার শুরু হয়েছে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ! ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে ভূমির মূল্য বা ক্ষতিপূরণ আইন অনুয়ায়ী পেয়ে থাকে ক্ষতিগ্রস্তরা। জমি অধিগ্রহণ হয়নি, দেয়া হয়নি কোনো অর্থ ছাড় তবুও প্রপাকাণ্ডা রটানো হচ্ছে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এ বিষয়ে লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সেলিম খান জানান, লক্ষীপুরের অনেক বড় একটি জায়গা নিয়ে ফ্লিম সিটি করার জন্যে নির্ধারিত ছিলো । ওই ভুমিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপনের জন্যে প্রাথমিক ভাবে প্রত্যাশী সংস্থা ও জেলা প্রশাসন পছন্দ করে নির্ধারণ করে। ভুমি অধিগ্রহণ এখনো হয়নি। আইন অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণের জন্যে ভূমির মূল্য জেলা ভূমি বরাদ্ধ কমিটি নির্ধারণ করে থাকে। এখানে যাদের জমি তাদের দাম নির্ধারনের কোন সুয়োগ নেই। ভুমি অধিগ্রহণের জন্যে কোনো অর্থ ছাড়ও দেয়া হয়নি। মানে কেউ জমির মূল্যে পায়নি। অথচ একটি কুচক্রি মহল সাম্প্রতিক সময়ে নানা প্রপাকাণ্ডা শুরু করেছে যে ভূমি অধিগ্রহণের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। যা সত্যি হাস্যকর। এদিকে হাইমচরের মেঘনার পশ্চিম তীরে চরে সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল করার উদ্যোগ নেয়। মেঘনা নদীর তীরে ৮ হাজার ১শত ২ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কে জমি দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।