আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
গৃহ কর কমানোর দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। রোববার সকালে নগরীর দশটি ওয়ার্ড কার্যালয় ঘেরাও এবং কাউন্সিলরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন নগরবাসী।

বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সকাল থেকেই নগরীর দশটি ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকেন বাড়ির মালিকরা। হোল্ডিং ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতারা। পরে আগ্রাবাদ জাতিতাত্ত্বিক যাদুঘর প্রাঙ্গনে হয় জমায়েত। এরপর বিক্ষোভ মিছিল করে দেওয়ানহাট গিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সেখান থেকে আগামী ২৩ অক্টোবর নগরীর আরও দশটি ওয়ার্ড কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

হোল্ডিংগুলোর বিপরীতে কর্পোরেশন অ্যাক্ট ২০০৯ প্রদত্ত মতাবলে পৌরকর আদায় করবে চসিক। এসেসমেন্টে হোল্ডিংগুলোর বিপরীতে চলতি অর্থ বছরে ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৯ টাকা পৌরকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২০১৬–২০১৭ অর্থ বছরে আদায় হয়েছিল ১০৩ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৭ টাকা।

উল্লেখ্য, চসিক মোট ১৭ শতাংশ পৌরকর আদায় করে থাকে। অথচ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তাতে কর আরো বেশি আদায়ের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে চসিক যে ১৭ শতাংশ পৌরকর আদায় করে তার মধ্যে ৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স, ৩ শতাংশ বিদ্যুতায়ন রেইট এবং ৭ শতাংশ আবর্জনা অপসারণ রেইট রয়েছে। ২০১৬ সালের গেজেট অনুযায়ী ৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্সের পাশাপাশি ৭ শতাংশ আবর্জনা অপসারণ রেইট, ৫ শতাংশ বিদ্যুতায়ন বা সড়কবাতি রেইট এবং ৮ শতাংশ স্বাস্থ্য রেইট আদায় করতে পারবে।