আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
‘আজিমপুরে সরকারি ভবনের বাসা বরাদ্দ জানুয়ারিতে’

রাজধানীর আজিমপুরে নতুন সরকারি আবাসন ভবনের বাসা আগামী জানুয়ারি মাসে বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আজিমপুরে সরকারি আবাসিক এলাকার বি ব্লকে ২০তলা বিশিষ্ট ছয়টি সরকারি আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। এরপর নতুন বছরের প্রথম মাসে তা বরাদ্দ দেয়া হবে। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকা পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বি ব্লকে বর্তমানে ৩৯২টি পরিবার বসবাস করছে। তাদের নতুন ভবনে স্থানান্তর করে এখানে আরো ১১টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।

গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১১টি ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। নতুন ছয়টি ভবনে ৪০৪টি পরিবার বসবাস করতে পারবে। এখানে ১৭টি আবাসিক ভবনে মোট এক হাজার ৭৪৮টি পরিবার বসবাস করতে পারবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে ঢাকায় কর্মরত সরকারি চাকুরিজীবীদের ৪০ ভাগের সরকারি আবাসন সমস্যার সমাধান হবে। বর্তমানে মাত্র আটভাগ চাকুরিজীবী সরকারি আবাসিক সুবিধা পান।

এদিকে, আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকার অন্য ব্লকগুলোর পুরাতন ভবন অপসারণ করে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের নির্দেশ দেন গণপূর্ত মন্ত্রী। একইভাবে তিনি গ্রিনরোড, সোবহানবাগ, ইস্কাটন সরকারি আবাসিক এলাকারও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের নির্দেশ দেন। এসব মাস্টার প্ল্যানে জলাধার, চিত্তবিনোদন কেন্দ্র, মসজিদ, খেলার মাঠসহ প্রতিটি আবাসিক এলাকার জন্য পৃথক স্যুয়োরেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও সলিড ওয়েস্টেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট রাখারও নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী সোবহানবাগ ডি টাইপ আবাসিক এলাকার মধ্যে দিয়ে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করতে স্থানীয় সাংসদদের সাথে আলোচনা করার জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। সকলে সম্মত হলে প্রয়োজনে সরকারি জায়গা ছেড়ে দিয়ে দেয়ালের পাশের রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং আবাসিক এলাকাকে পৃথক করার পরামর্শ দেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, টেনামেন্ট হাউসে সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য ১১৪টি ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ চলছে। এসব ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ওই পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কোনো আবাসিক সমস্যা থাকবে না। ইস্কাটনে সবজি বাগান এলাকায় আরো দুটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে পর্যায়ক্রমে পুরো এলাকার ভূমি বিন্যাসসহ সকল সুযোগ সুবিধা গড়ে তোলা যাবে। যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে তাতে করে আগামীতে ঢাকায় কর্মরত সরকারি চাকুরিজীবীদের কোনো আবাসিক সমস্যা থাকবে না।

এরপর মন্ত্রী গ্রিনরোড, সোবহানবাগ ডি ও ই টাইপ, ইস্কাটন আবাসিক এলাকাও পরিদর্শন করেন। এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।