গত ২০ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখের পত্রের প্রেক্ষিতে আজ ২ মে বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূইয়া, সাবেক এমপি ভাইস প্রেসিডেন্ট (১) লায়ন এম. এ. আউয়াল, ভাইস প্রেসিডেন্ট (৩) ইঞ্জি. আব্দুল লতিফ রিহ্যাব এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন । বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার, রাজউকের চিফ টাউন প্লানার মোঃ আশরাফুল ইসলামসহ আইএবি, আইইবি, আইডিইবি এর প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা ড্যাপ এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এর বিষয়ে রিহ্যাব নতুন কমিটি প্রথমবারের মত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করে।
বৈঠকে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০২৪ চূড়ান্ত হলে এর পরবর্তী সময় থেকে অনুমোদিত ভবনের ক্ষেত্রে অকুপেন্সি বাধ্যতামূল করা হবে। তবে আগের ভবন এর ক্ষেত্রে অকুপেন্সি সনদের কি হবে তা পুনরায় বৈঠক করে ঠিক করা হবে এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া নির্মানাধীন ভবন নির্মানের কাজ পরিদর্শন এর ক্ষেত্রে পরিদর্শক এর যাবতীয় ব্যয়ভার নির্মাণ কারীকে বহন করতে হবে এমন বিষয়টি রোহিত করার সিদ্ধান্ত আগামী বৈঠকে ঠিক করা হবে। রিহ্যাব এর জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২ অথবা ৩ দিনের মধ্যে রাজউক এর সাথে রিহ্যাবসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন (স্টেক হোল্ডার) এবং সংস্থার দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনার পর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০২৪ চূড়ান্ত করা হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, গত ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সংগঠন/সংস্থাকে যে পত্র দেয় সেখানে ভূলবশত রিহ্যাবকে সেই পত্র দেয়া হয়নি। রিহ্যাব এই বিধিমালার অন্যতম প্রধান স্টেক হোল্ডার। তবে এ বিষয়ে রিহ্যাব এর বর্তমান সভাপতির দ্রুত জোরালো ভূমিকার কারণে আজকের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার বসবাস অত্যাধিক বেশি। আমাদের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কিন্ত জমি বাড়ছে না। নতুন ড্যাপ এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে আমাদের মহামূল্যবাদ সম্পদ জমির সঠিক ব্যবহার করা হয়নি। এই ড্যাপের মাধ্যমে আমাদের সম্পদ আরো নষ্ট হবে। আমাদের এমন পলিসি গ্রহণ করা দরকার যার মাধ্যমে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
নেতৃবৃন্দ আলো উল্লেখ করেন, নতুন ড্যাপে উচ্চতা ও ফ্ল্যাট সংখ্যা কম করা হয়েছে, তাহা অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশের জন্য সঠিক নয়। শহরের প্লট দ্রুত শেষ হয়ে কৃষি জমির উপর চাপ পরবে, আমাদের কৃষি জমি পর্যাপ্ত নয়। ফলে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। যার ফলসুরুপ অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাপ পড়বে। উচ্চতা এবং আয়তন কমে আসায় আগামীতে ফ্ল্যাটের দাম বাড়বে। বাড়ি ভাড়া বাড়বে। সাবলেট বাড়বে। ভালো মানের আবাসন সুবিধা অনিশ্চিত হবে। নতুন ড্যাপে ঢাকা শহরের ছোট রাস্তা বড় করার তেমন বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। ফলে দুর্যোগ কালীন উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হবে। এছাড়া একেক জায়গায় একেক রকম ফারের কারণে বিভিন্ন আকৃতির ভবন তৈরি হবে। ফলে ঢাকা সৌন্দর্য হারাবে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।