আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com

আবাসিকে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি জানিয়েছে রিহ্যাব »

আবাসিকে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি জানিয়েছে রিহ্যাব

আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ চালু করার জোর দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) নেতৃবৃন্দ। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে রিহ্যাব এর পক্ষ থেকে জ্বালানী মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ এবং পত্র দেওয়া হয়েছে।

আবাসিক খাতে প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে গ্যাস সংযোগ। ফলে চরম বৈষম্য তৈরি হয়েছে নাগরিকদের মাঝে। মূলত গুটিকয়েক এলপিজি (বোতলজাত গ্যাসের সিলিন্ডার) ব্যবসায়ীর স্বার্থরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কার্যত আবাসিক গ্যাস সংযোগ বৈধ উপায়ে বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ গ্রাহক অবৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ নিয়েছে। যাতে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকার। দেশের মোট গ্যাসের শতকরা ১২ শতাংশ ব্যবহার করা হয় আবাসিক খাতে। বাকিটা শিল্প ও অন্যান্য খাতে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও পক্ষের কাছে রিহ্যাব এর পক্ষ থেকে বেশ কিছু দিন ধরে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে।
রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে একদিনে যে পরিমাণ অবৈধ গ্যাসের ব্যবহার হয়, তাতে দুই-চার লাখ আবাসিক গ্রাহকের কয়েক মাসের ব্যবহারের সমান। এছাড়া কিছু এলাকায় গ্যাস থাকবে আবার কিছু এলাকায় থাকবে না এটা বৈষম্য। অবশ্যই বৈষম্য দুর করতে হবে। গুটিকয়েক এলপিজি ব্যবসায়ী বিগত সরকারকে প্রভাবিত করে আবাসিক খাতে সংযোগ বন্ধ চুলা বর্ধিতকরণ বন্ধ রাখে।
এ বিষয়ে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়া এখন অত্যন্ত সহজ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানে একাধিক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সেখান থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এক পক্ষ। এতে প্রতি বছর সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি কিছু নাগরিক গ্যাস না পেয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, দেশে গ্যাস সংকটের দোহাই দিয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে আবারও সংযোগ চালু করা হয়। কিন্তু ২০১৪ সালের পর আবার জ্বালানি বিভাগ থেকে বিতরণ কোম্পানিকে আবাসিকের নতুন আবেদন নিতে নিষেধ করা হয়। পরে ২০১৯ সালে লিখিতভাবে আবাসিক সংযোগ স্থগিত রাখার আদেশ জারি করা হয়। অনেকেই অভিযোগ করেন আবাসিকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করার পিছনে এলপিজি (বোতলজাত গ্যাসের সিলিন্ডার) ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এর বড় ভূমিকা রয়েছে।