আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন না করলে রিহ্যাব সদস্য ও জমির মালিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। একই সঙ্গে এখন থেকে রিহ্যাব সদস্য বিদ্যমান বিধিমালা ২০০৮ এবং বিএনবিসি ২০২০ অনুসারে বিল্ডিং প্ল্যানের আলোকে ভবন নির্মাণ করবে বলেও জানায় রিহ্যাব।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রিহ্যাবের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় রিহ্যাব নেতারা ড্যাপ এবং বিধিমালা সংশোধনে সময়ক্ষেপণ করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।বিজ্ঞাপন
আয়োজিত সভায় রিহ্যাব নেতারা বলেন, বিধিমালা সংশোধনে রাজউক এর চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে একাধিক সভা হয়। রাজউক চেয়ারম্যান ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিহ্যাবের কাছে প্রস্তাবনা চান। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে (৭ দিনের মধ্যে) বিধিমালা সংশোধনের বিস্তারিত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
আবাসন ব্যবসায়ীরা বলেন, রিহ্যাব তার কথা রাখলেও বিভিন্ন সময় রাজউক বিধিমালা সংশোধনে একাধিকবার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ফলে পুরো আবাসন খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বৈষম্যমূলক নতুন নিয়মে জমির মালিকরা জমি ডেভেলপ করার জন্য কোনো জমি দিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে ফ্ল্যাটের শূন্যতা তৈরি হচ্ছে এবং দ্রুত ফ্ল্যাটের দাম বাড়ছে। সব ধরনের নাগরিকদের মাথা গোঁজার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে।
সভায় রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন না হওয়ায় জমির মালিক, ডেভেলপারসহ সব ধরনের নাগরিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। বাংলাদেশে জমির তুলনায় জনসংখ্যার আধিক্য বেশি। বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে আগামীতে ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে। প্রতি বছর কৃষি জমি শেষ হচ্ছে নতুন বাড়ি তৈরিতে। আমাদের অবশ্যই ভবন উপরের দিকে তুলতে হবে।
রিহ্যাবের বিভিন্ন পরিচালকরা বলেন, নির্মাণ খাতের সঙ্গে অর্থনীতির বড় ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের ওপর লিংকেজ শিল্প নির্ভরশীল। বর্তমানে লিংকেজ শিল্পগুলো ধুকছে আমাদের আবাসন শিল্পে স্থবিরতা বিরাজ করায়। ১৫ শতাংশ অবদান রাখা এই খাতের জিডিপি আগামীতে কমে আসবে। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সভায় রিহ্যাব সদস্যরা বলেন, আমরা একাধিকবার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক ভাবে সভা করেছি। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। ১৫ দিনের মধ্যে নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন না করলে সব অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন শুরু ছাড়া আর কোনো পথ আমাদের খোলা নেই। সরকারকে অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। সভায় রিহ্যাবের বিভিন্ন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রিহ্যাব পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।