দেশে ফ্ল্যাটের বেচা-কেনা কমেছে। ক্রেতারা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সুদহার বেশি হওয়ায়, ইচ্ছে থাকলেও রাজধানীতে তারা স্বপ্নের আবাসন নিশ্চিত করতে পারছেন না। অন্যদিকে আবাসন কোম্পানিগুলো বলছে, গৃহ ঋণের সুদহার এক অংকের ঘরে এলে উপকৃত হবেন ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীরা।
দেশে শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ বিতরণ কমেছে। ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে এর কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমা তুলে নেওয়ার পর অন্যান্য ঋণের সুদের হারের মতো গৃহ ঋণের সুদ হারও বাড়তি।
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও ১১ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে আবাসন ঋণ দিচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্সের ঢাকা ও চট্টগ্রাম এলাকায় ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির চাপ সমাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অনেকে। ফলে, ঋণ নিয়ে স্বপ্নের ফ্ল্যাট কেনা থেকে, ক্রেতাদের অনেকেই বিরত থাকছেন ।
ফ্ল্যাট বেচা-কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, করপোরেট অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে যদি সুদহারকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায় তাহলে লং টার্ম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ডেভেলপররা যেমন লাভবান হবে তেমনি ক্রেতারাও লাভবান হবে।
গৃহঋণের এ উচ্চ সুদহারের কারণে আবাসন ব্যবসায় ভাটা পড়েছে বলেও মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এই সুদ স্বল্প উপার্জিত আয় দিয়ে সময়মতো পেমেন্ট করা দুরূহ হচ্ছে। যে কারণে মানুষের ঋণের দিকে যেতে চাইছে না।’
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি ক্রিডেন্স হাউজিংয়ের টিম লিডার নাজমুল হুদা নাহিদ বলেন, ‘গ্রাহক কম ঋণ তুললে এটার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়বে।’
এদিকে ঋণের শর্ত সহজ করতে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আবাসন ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে, গত জুনের শেষে ব্যাংকগুলোতে আবাসন ঋণের গ্রাহক ছিল ৪৯ হাজার ৮৪৪ জন। সেপ্টেম্বর শেষে গ্রাহক বেড়ে হয়েছে ৫৯ হাজার ৪০২ জন।