
দেশে আরও ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাথমিক অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে ১টি সরকারি, বাকি ৮টি বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠিত হবে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের মোট জমির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭৫০ একর।
নতুন যে ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রাথমিক অনুমোদন পাবে, তার মধ্যে সুনামগঞ্জের ছাতকে হচ্ছে ছাতক ইকোনমিক জোন। ১৩৮ দশমিক ৬৮ একর জমির উপরে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবে নিটল-নিলয় গ্রুপ। চট্টগ্রামের চন্দনাইশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করবে কাজী ফার্মস। এর নাম হবে কাজী ফার্মস ইকোনমিক জোন, যার আয়তন ১৩০ দশমিক ৬৩ একর। পোশাক খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ১৪০ একর জমিতে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করবে। সাদ মুছা গ্রুপ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৯০ একর জমিতে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করবে।
এছাড়া ময়মনসিংহের ত্রিশালে হবে হামিদ ইকোনমিক জোন, যার আয়তন হবে ১৫৩ একর। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইকোনমিক জোন নামের একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে। ময়মনসিংহের ভালুকায় নিশিন্দাবাজার মৌজায় ১০০ একর জমিতে আনন্দ স্পেশাল ইকোনমিক জোনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ডেটা সফট আইটি পার্ক নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব করা হয়েছে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে। এর আয়তন হবে সাড়ে ১২ বিঘা।
চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার একর জমিতে চাঁদপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলটি হবে সরকারি উদ্যোগে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩ হাজার ৯০ একর সরকারি খাসজমি এবং ৯১০ একর চর ভরাট করার চিন্তা করছে বেজা।
উল্লেখ্য, সরকারি ও বেসরকারি খাতে দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৭৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। নতুন করে ৯টি যোগ হলে স্থান নির্বাচন হওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের সংখ্যা দাঁড়াবে ৮৮তে।