
দেশব্যাপী বন্যাকবলিত এলাকায় পুনর্বাসনে শতাধিক কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। পাশাপাশি নতুন ফসল না আসা পর্যন্ত কৃষি ঋণের সুদ মওকুফ ও ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধও ঘোষণা করেছে। ১৪ অক্টোবর (শনিবার) গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী একথা জানিয়েছেন।
‘কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০১৭’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছয় দিনব্যাপী (১৪ থেকে ২০ অক্টোবর) এই কর্মশালায় সারা দেশ থেকে আগত কৃষি বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মতিয়া চৌধুরী বর্তমান সরকারকে কৃষিবান্ধব ও জনবান্ধব হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সরকার প্রতিবছর কৃষি প্রণোদনা দিচ্ছে। এ বছরও কৃষি প্রণোদনার পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকায় ১৩৭ কোটি টাকার পুনর্বাসনের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরবার। এর পাশাপাশি নতুন ফসল না আসা পর্যন্ত কৃষি ঋণের সুদ মওকুফ ও ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধও ঘোষণা করেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। মোট জিডিপির প্রায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ আসে কৃষি ও বনজ খাত থেকে। তাই কৃষি শুধু খোরপোষের সঙ্গেই জড়িত নয়। এটাকে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, বিএআরআইয়ের পরিচালক (গবেষণা) মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ।