
নগরদারিদ্রের শিকার বস্তিবাসীদের জন্য ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে সরকার। রাজধানীর মিরপুরের বাউনিয়ায় ১০ একর জমির ওপর এই ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৫৫০টি ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে। খুব অল্প ও সহজে পরিশোধযোগ্য ভাড়াভিত্তিতে এসব ফ্ল্যাটে বস্তিবাসীরা থাকবেন।
এমনটাই জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত “হাউজিং ফাইন্যান্স ফর পিপল লিভিং ইন আরবান পোভার্টি” শীর্ষক জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী আরো বলেন, দারুস সালামে হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বস্তিবাসিদের জন্য আরো এক হাজার ৫৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় তিনটি জেলার ১৯টি বস্তিতে পাঁচ হাজার ৭০০ পরিবারের জন্য উন্নত আবাসন সুবিধা গড়ে তোলা হচ্ছে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বস্তিবাসীর উন্নয়নে ঢাকা মহানগরসহ দেশের যেকোনো জেলায় বহুতল ভবন নির্মাণে ব্র্যাক ও যেকোনো বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে এলে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেয়া হবে।
ব্র্যাকের সিনিয়র কর্মকর্তা আসিফ সালেহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আখতারুজ্জামান, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরে পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বস্তিবাসীর জন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, ব্র্যাক ও ইউএনডিপি’র তিনটি আবাসন মডেল উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপিত আবাসন মডেলের মডারেটরের দায়িত্ব পালন করে মেয়র্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইসপ্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান।
অংশগ্রহণকারীরা এসব মডেলের ওপর আলোচনা-পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশমালা উপস্থাপন করবেন। কনভেনশনে রাজশাহী ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিকল্পনাবিদ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র ও সরকারি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
সম্পাদনা: এবি/আরএ/এরএম।