
দেশের আবাসিক সংকট ও মানুষের ব্যাপক চাহিদাকে সামনে রেখেই নব্বই দশকের মাঝামাঝি শুরু হয় বেসরকারি হাউজিং শিল্পের প্রসার ও বিকাশ। মাত্র বিশ বছরে বেসরকারী হাউজিং কোম্পানীগুলো প্রায় ৮৫ হাজার পরিবেশ বান্ধব আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লট এবং প্রায় ৯০ হাজার আবাসিক ও বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছে। আবাসন খাত দেশের জিডিপিতে প্রতি বছর শতকরা ২২ ভাগ অর্থ যোগান দিচ্ছে। এ খাতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশেরও বেশি। প্রতি বছর প্রবাসীরা শুধুমাত্র প্লট ও ফ্ল্যাট ক্রয়বাবদ রেমিটেন্স হিসাবে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রা দেশে পাঠায়। যা দেশীয় রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধির একটি বড় অংশ। দেশের বেসরকারী হাউজিং শিল্পের এই অবদান ও সফলতার একটি বড় অংশের দাবিদার আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ।
আবাসন সমস্যা সমাধানে এ দেশের যে কয়টি প্রতিষ্ঠান সততা, স্বচ্ছতা ও বিধি-বিধান মেনে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ তাদের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। সততা, একতা, আন্তরিকতা, ন্যায়নিষ্ঠা ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আর নিরলস প্রচেষ্ঠায় প্রায় তিন দশক এর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এই অসামান্য উচ্চতায় পৌঁছেছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। চমৎকার মনোরম পরিবেশে ভূমি উন্নয়ন করে প্লট তৈরি ও বিক্রি এবং নগরীর গুরুত্বপূর্ন এলাকায় দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন নির্মান ও ফ্ল্যাট বিক্রি-এই উভয় ক্ষেত্রেই রয়েছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের সুনাম, সুখ্যাতি ও গ্রাহকের পূর্নাঙ্গ আস্থা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষনা এবং ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে প্রতিটি নাগরিকের জন্য পরিবেশ বান্ধব আবাসন ব্যবস্থা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি আবাসন প্রকল্পের পরিকল্পনায় পর্যাপ্ত খোলা জায়গা, খেলার মাঠ, লেক (জলাধার) ইত্যাদিকে প্রাধান্য দিয়ে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সকল প্রকার সরকারি নিয়ম-কানুন মেনেই নকশা প্রণয়নসহ বাস্তবায়ন করছে প্রকল্প উন্নয়নের কাজ। ভবিষ্যত প্রজম্মের নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার প্রতি লক্ষ্য রেখে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ-এর প্রকল্প সমূহ এমন ভাবে বিন্যাসকৃত, যেখানে শতকরা ৪৮% শতাংশ নাগরিক সুবিধার জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশিদার হয়ে দেশ গড়ার কাজে অবদান রাখতে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নির্মাণ সামগ্রী এবং নির্মাণের প্রতিটি পর্যায়ে সঠিকমান নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে সকল প্রকার গুনগতমান অক্ষুন্ন রেখে নির্মিত আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ-এর প্রতিটি স্থাপনাই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যের সাক্ষ্য বহন করে। পড়সসরঃঃবফ ঃড় নঁরষফ ঃযব নবংঃ , আস্থার স্থপতি-আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ-গড়ে দেয় ভাবনাহীন নতুন ঠিকানা’-এই শ্লোগানকে ধারণ করে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের গুনগত মানসম্পন্ন ইমারত নির্মাণের খ্যাতি আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছড়িয়ে পড়েছে। অর্জন করেছে গ্রাহক শুভানুধ্যায়িদের বিশ্বাস, অটুট ভালোবাসা আর আস্থা।
রাজধানী ঢাকার প্রাইম লোকেশনে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের শতাধিক দৃষ্টিনন্দন আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা তিলোত্তমা নগরীকে সাজিয়েছে সূচারুভাবে নবরূপে। রাজধানীর অভিজাত ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারা, নিকেতন, উত্তরা, মগবাজার, ইস্কাটন, মোহাম্মদপুর, রামপুরা, শান্তিনগর, সিদ্ধেশ্বরী, সেগুনবাগিচা ও মিরপুরে তৈরী করেছে সুদৃশ্য অট্টালিকা (এপার্টমেন্ট)। ইতিমধ্যে শতাধিক প্রকল্প সফলতার সঙ্গে হস্তান্তরও করা হয়েছে। নির্মানাধীন রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক এবং প্রক্রিয়াধীন আছে শতাধিক প্রকল্প। এই নির্মাণ পরিকল্পনায় যোগ হচ্ছে আরও নতুন নতুন প্রকল্প।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নিয়ম একশত ভাগ মেনে চলা হয়। তাই সকল স্থাপনা ভুমিকম্প ও যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সহনীয় ও ঝুকিমুক্ত। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে খোলামেলা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ফ্ল্যাট নির্মানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কোম্পানির তিন দশকের অগ্রযাত্রার এই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ বান্ধব সেরা আবাসন নির্মাণের লক্ষ্যে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ বাস্তবায়ন করছে ২১শতকের উপযোগী সুপরিকল্পিত নগরী। যা আজ দেশে ও বিদেশে সকলের কাছে স্বনামেই পরিচিত এবং অত্যান্ত আস্থার প্রকল্প। এসব প্রকল্প থেকে হাজার হাজার মানুষকে তাদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। এই সফলতা ও গ্রাহকের আস্থার ধারাবাহিকতায় বারো আউলিয়া আশির্ব্বাদ ধন্য বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও শুরু হয়েছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ কাজ। খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে আবাসিক পট উন্নয়ন কার্যক্রমও। এছাড়াও দেশের ও প্রবাসের গ্রাহকদের বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনায় কক্সবাজারেও আবাসিক প্রকল্পের নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। পূণ্যভুমি সিলেটে নগরীতেও একটি আবাসিক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে।
বিভিন্ন প্রকল্পে ছোট বড় মিলিয়ে হাজার হাজার আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের কাছে প্লট ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রাহকরা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে পাওয়া প্লটে বাণিজ্যিক, শিক্ষা ও আবাসিক প্রতিষ্ঠান নির্মানের কাজও শুরু করেছেন। সরকার দেশ গড়ার কাজে চ্যালেঞ্জ নিয়ে অর্থনৈতিক ও আবাসন খাতে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছে, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপও এই উন্নয়ন ও সাফল্যেও অংশীদার।
আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের আবাসিক প্রকল্পসহ প্রতিটি প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক চিত্র পাল্টে গেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সবুজ ঘেরা পরিবেশ বান্ধব এসব প্রকল্প এলাকায় চলছে এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ। এলাকার মানুষের জীবন মানের পরিবর্তন হয়েছে, চলছে বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বহ ুকর্মসংস্থানের। এসব প্রকল্পে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় সরকারের শিক্ষা বিস্তার কর্মসূচীর বাস্তবায়নেও ঘটেছে আবারিত সুযোগ। দুই দশকের ব্যবধানে অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং পরিকল্পনায় ভৌগলিক অবস্থার ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। মানুষের মাঝে বিপুল আগ্রহেরও সৃষ্টি হয়েছে।
আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ-এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মেধা, মনন, সৃষ্টিশীল চিন্তা, দরদ আর অক্লান্ত পরিশ্রম, কোম্পানীর কার্যক্রমকে নিয়ে গেছে বহু দূর। প্রতিশ্রুতি পূরনে পেশাগতভাবে সদা সচেষ্ট আমাদের আছে বিশাল চৌকস কর্মী দল। আছে নিজস্ব গবেষক, স্থাপত্যকলায় প্রতিষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ, যারা সার্বক্ষনিক নিয়োজিত আছেন বর্তমান বিশ্বের সর্বশেষ পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং প্রযুক্তির ব্যবহার পর্যবেক্ষন কাজে। তাই নির্মাণ কাজে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, মান নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য নকশা। আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নির্ধারিত সময়ে এপার্টমেন্ট ও প্লট হস্তান্তর এবং বিক্রয়োত্তর সেবার কারনে পরিনত হয়েছে মানুষের কাছে নির্ভরতার প্রতীকে, পেয়েছে জাতীয় পর্যায়ের একাধিক স্বীকৃতিও। ১২টি সদস্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ-এর ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে প্রায় ১৭০০০ জনবল।
ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা ও প্রতিশ্রুতি থেকেই দেশ ও জাতির কল্যাণে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সদা-সর্বদা স্বতস্ফুর্ত ভাবে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে এতিমখানা, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায়দের মাঝে ত্রান বিতরণ, অসহায় ও নিঃস্ব রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, গরীব মেধাবী শিার্থীদের আর্থিক সহায়তা দান, দুঃস্থদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাদান, হজ্বমিশন পরিচালনা, খেলাধুুলার মান উন্নয়নে পৃষ্ঠপোশকতা অন্যতম। আশ্রয়হীনদের মধ্যে ঘর বিতরণ, বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য চট্টগ্রাম ও সুন্দরবন অঞ্চলে নলকুপ স্থাপন, কণ্যাদায়গ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, দুঃস্থ, অসহায় এবং সংসার চালাতে অক্ষম নিঃস্ব পরিবারের ভরনপোষন, নিজস্ব তহবিল থেকে বিনা মুনাফায় অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সহায়তা দান, শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ, শিক্ষা বৃত্তি প্রদান এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানও আমাদের গ্রুপের অন্যতম কার্যক্রম। বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের রয়েছে বিরাট অবদান। মাদ্রাসার গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা, কোরআর-কিতাব ও কাপড় বিতরণ এবং চিকিৎসাসহ অন্যান্য সকল ধরনের সহায়তা প্রদান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের দীর্ঘদিনের চলমান একটি কর্মসূচী। এসবের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, একজন অসহায় মানুষ যাতে অন্যের কাছে হাত না পেতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং নিজেকে সৎ, কর্মঠ, দায়িত্বশীল কর্তব্য পরায়ন একজন নাগরিক হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণে অবদান রাখতে পারে।
এ ছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে তার শিক্ষা কল্যাণ তহবিলসহ রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অন্যান্য তহবিলেও আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ তার সাধ্যমত সহযোগিতা করেছে এবং এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।