নিজের তিলে তিলে গড়া সঞ্চায়কে পুজি করে একজন গ্রাহক তার নিজের থাকার একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ফ্ল্যাট কেনার পূর্বেই পড়েন বিড়ম্বনায়। কথা আর বাস্তবের সাথে ফারাক আর ক্ষেত্র বিশেষে প্রতারণার কবলে পড়ে ফিকে হয়ে যায় নিজ ঠিকানা গড়ার স্বপ্ন ! এ পরিস্থিতি এড়াতে হলে ফ্ল্যাট ক্রেতারও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।
১. প্রথমে রাজউকের অনুমোদনকৃত নকশার ফটোকপি নিবেন এবং প্রকৌশলী বা স্থপতি দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে উক্ত নকশা আসলেই রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত কিনা ।
২. ভবনের ষ্ট্যাকচারাল ডিজাইন প্রকৌশলীর নাম ও তাঁর পেশাগত রেজিষ্ট্রেশন নম্বর জেনে নিন।
৩. ভবনের স্থাপত্য নকশা প্রনয়ণকারী স্থপতির নাম ও তাঁর পেশাগত রেজিষ্ট্রশন নম্বর জেনে নিন।
৪. জমির প্রকৃত পরিমাণ, মূল ফ্ল্যাট এরিয়া এবং কমন এরিয়ার পরিমাপ জেনে নিবেন। যত বর্গফৃট ফ্ল্যাট এরিয়ার মূল্য আপনি পরিশোধ করবেন তার বিস্তারিত হিসাব (Break up) অবশ্যই লিখিতভাবে বুঝে নিবেন।
৫. রাজউক কর্তৃক কত তলা ভবন অনুমোদন আছে তা দেখে নিবেন।
৬. বাউন্ডারী দেয়াল থেকে মূল ভবন পর্যন্ত আলো বাতাসের জন্য বাস্তবে কতটুকু ছাড় দেয়া আছে জেনে নিবেন।
৭. যে কোম্পাানী হতে ফ্ল্যাট কিনবেন তারা ইতিপূর্বে কোন প্রজেক্ট শেষ করেছে কিনা খোঁজ নিবেন। জেনে নিন ইতিপূর্বে তারা কি সময়মত প্রজেক্ট হ্যান্ডওভার করেছে ? Hand over প্রজেক্টের কাজের গুনগতমান কেমন তা জেনে নিন।
৮. আপনি যে প্রজেক্টে ফ্লাট ক্রয় করবেন তা কি সময় মত হ্যান্ডওভার করতে পারবে বলে আপনি নিশ্চিত হতে পেরেছেন ? প্রজেক্টটি কি আদৌ শেষ করতে পারবে বলে আপনার মনে হয় ? ইতিবাচক জবাব যদি পান তবেই অগ্রসর হোন।
৯. যে কোম্পাানী হতে ফ্ল্যাট কিনবেন তারা কি আবাসন মালিকদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর মেম্বার ?
১০. প্রজেক্টটিতে মৌলিক মালামালের পাশাপাশি ফিনিশিং মালামালের গুনগতমান সম্পর্কে ভালো করে খবর নিন । প্রয়োজনে বাস্তবে তাদের প্রজেক্টগুলো ভিাজট করুন।
১১. কোম্পানী পরিচালনায় যারা আছেন তাঁরা কি সংশ্লিষ্ট কাজে প্রফেশনাল ? তাদের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।