আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
তালিকাচ্যুত হতে পারে আরও ১২ কোম্পানি

পাঁচ বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়া ১২টি কোম্পানিকে নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। নোটিশের জবাবে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে কোম্পানিগুলোকে তালিকাচ্যুত করবে ডিএসই।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, দুলামিয়া কটন, সমতা লেদার, শ্যামপুর সুগার মিলস, জিল বাংলা সুগার মিলস, ইমাম বাটন, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ), সাভার রিফ্রেক্টরিজ, বেক্সিমকো সিনথেটিক্স এবং জুট স্পিনার্স।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ২০১৫ সালের লিস্টিং রুলসের ৫১(১)(এ) ধারা অনুযায়ী এসব কোম্পানির পারফমেন্স রিভিউ করা হবে বলে মঙ্গলবার ডিএসই থেকে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর ৫ বছর ধরে কোন লভ্যাংশ দিচ্ছে না বলেও ডিএসই তথ্য প্রকাশ করেছে।

ডিএসইর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, এই কোম্পানিগুলোকে তালিকচ্যুত করার লক্ষ্যে ডিএসই পারফমেন্স রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ডিএসই থেকে নোটিশ পাঠিয়ে কোম্পানিগুলোর বর্তমান ও ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। একই সঙ্গে কেনো তালিকাচ্যুত করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হবে।

সেক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর উত্তোর ডিএসইর কাছে সন্তোষজনক না হলে তালিকাচ্যুতির চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অর্থাৎ ডিএসইর ২০১৫ সালের লিস্টিং রেজুলেশনের ৫২(১)(সি) ধারা অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করা হবে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, এই ১২ কোম্পানির পাশাপাশি আরও ১৮টি কোম্পানি চিহ্নিত করেছে ডিএসই। এ কোম্পানিগুলোর পারফমেন্সও ভালো না। কোম্পানিগুলো নিয়মিত লভ্যাংশ দেয় না এবং বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) করে না। এ কোম্পানিগুলোকেও তালিকাচ্যুত করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়ার চিন্তা করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

ডিএসইর এক পরিচালক জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ‘জেড’ গ্রুপে থাকা কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দিতে পারছে না। অনেক কোম্পানি ধারাবাহিকভাবে লোকসান করছে। কারও কারও সম্পদ মূল্যও ঋণাত্মক। অথচ শেয়ারবাজারে প্রায় প্রায় এসব কোম্পানির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। এক ধরণের চক্র এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে খেলা করে। এতে বাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিত সৃষ্টি হয়। যে কারণে বাজারের স্বার্থে ডিএসই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

এর আগে গত ১৮ জুলাই মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং এবং রহিমা ফুডকে মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এ দুটি কোম্পানির উৎপাদন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ডিএসইর ২০১৫ সালের লিস্টিং রেজুলেশনের ৫২(১)(সি) ধারা অনুযায়ী কোম্পানি দুটিকে তালিকাচ্যুত করা হয়। জাগোনিউজ