চিরাজারা সেতু, কলম্বিয়া
বোগোতা এবং ভিলাভিসেনসিওর দুই টানেল সংযুক্ত করার কথা ছিল এই সেতুর৷ কিন্তু ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সেতুটির দুটি অংশ জোড়া দেয়ার সময় ঝোলানোর দড়ি ছিঁড়ে একটি অংশ নীচে পড়ে যায়৷ এতে নিহত হন ৯ জন৷ তদন্তকারীরা এজন্য দায়ী করেছেন নির্মাণ ত্রুটিকে৷ সেতুর অন্য অংশটিও যে-কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশংকায় পুরো সেতুটিই সে বছরের জুলাই মাসে উড়িয়ে দেয়া হয়৷
রানা প্লাজা, বাংলাদেশ
আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসেবে ধরে নেয়া হয় ঢাকার রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিকে৷ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ধসে পড়ে আট তলা এই ভবন৷ ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে মারা যান ১,১৩৫ জন পোশাক শ্রমিক৷ একদিন আগেই ফাটল দেখতে পেয়ে ভবন সিলগালা করে দিয়েছিল পুলিশ৷ কিন্তু তারপরও শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধ্য করা হয়৷
সামপুং ডিপার্টমেন্ট স্টোর, দক্ষিণ কোরিয়া
কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ধসে পড়ে সিউলের সামপুং ডিপার্টমেন্ট স্টোর৷ ১৯৯৫ সালের ২৯ জুনের এ দুর্ঘটনায় মারা যান পাঁচ শতাধিক মানুষ৷ তদন্তে দেখা যায়, ভবনটি নির্মাণের সময় একাধিক নিয়ম মানা হয়নি৷ নির্মাণকাজে যেসব দ্রব্য ব্যবহার করা হয়েছিল, তাতেও গলদ পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷
মিসিসিপি সেতু, যুক্তরাষ্ট্র
৫৮০ মিটার দীর্ঘ আট লেনের সেতুটি দুই শহরকে যুক্ত করেছিল৷ ২০০৭ সালের পয়লা আগস্ট ভেঙে পড়ার কদিন আগেই সংস্কার কাজ শুরু হয়৷ তবে তখনও সেতুর একটি লেন খোলাই রাখা হয়েছিল৷ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৩ জন৷ এক্ষেত্রেও তদন্তকারীরা নির্মাণের ত্রুটিকেই সেতু ধসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন৷
স্টুডেঙ্কা সেতু, চেক প্রজাতন্ত্র
২০০৮ সালে সংস্কারকাজ চলার সময় হঠাৎ করে স্টুডেঙ্কা সেতু ভেঙে পড়ে৷ দুর্ভাগ্যবশত, সেসময়ই দ্রুতগতির একটি ট্রেন সেদিকে আসছিল৷ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে এসে ট্রেনটি নীচে পড়ে যায়৷ দুর্ঘটনায় নিহত হন আট জন৷ দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও তদন্তকারীরা নির্মাণকাজে বেশকিছু ত্রুটি পেয়েছিলেন।