আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
রাজউক ভবনে নতুন আতঙ্ক পলাশ ও আমিন গ্রুপ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ উঠেছে পলাশ-রাজ-আমিন গ্রুপের বিরুদ্ধে। তাদের ভয়ে রাজউক কর্মকর্তা ও সাধারণ ঠিকাদাররা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন অপকর্ম করার আগে তারা নিজেদেরকে ক্ষমতাসীন দলের লোক বলে দাবি করছে। তবে তারা ক্ষমতাসীন দলের কেউ না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 
জানা গেছে, সম্প্রতি তারা নিজেদের রাজউক ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। এ নিয়ে রাজউকের সিনিয়র ঠিকাদারদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 
রাজউকের বেশ কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, মুন্সী হাবিবুল্লাহ পলাশ, আমিনুল ইসলাম আমিন ও রাজ গ্রুপের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জিকে শামীম এতদিন রাজউকের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতো। তারা গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার পর পলাশ-আমিন গ্রুপ রাজউকে নানা রকম অরাজকতা চালাচ্ছে। তারা বিভিন্ন কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকিসহ ঠিকাদারদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ওই ঠিকাদারকে রাজউক ভবনে ঢুকতে দিচ্ছে না। আবার কোনো কর্মকর্তা তাদের কথামতো কাজ না করলে তাকে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম করায় তাদের ভয়ে এখন অনেক প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারা রাজউক ভবনে আসছেন না। 
তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাউজক ঠিকাদার সমিতি পরিচালিত হচ্ছে। ঠিকাদারদের কল্যাণে তারা বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। ওই সমিতির সভাপতি কায়জার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক আবুল ফজল রাজু। তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। অথচ ঠিকাদার না হয়েও পলাশ, রাজ ও আমিন নিজেদেরকে রাজউক ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির নেতা দাবি করছেন। 
এ বিষয়ে নবগঠিত রাজউক ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি দাবিকারী মুন্সী হাবিবুল্লাহ পলাশ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পূর্বের কমিটির কোনো কার্যক্রম না থাকায় রাজউকের ঠিকাদাররা তাকে সভাপতি বানিয়ে একটি কমিটি ঘোষণা করেছেন। এই কমিটি সিনিয়র ঠিকাদারদের মতামত নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে নিজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও কর্মকর্তাদের হুমকি-ধমকি দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।  ভোরের ডাক