রিয়েল স্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) নেতারা বলেছেন, ঢাকা মহানগর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) ব্যাপক ভুলত্রুটি ও অবাস্তব শর্ত রয়েছে, যা বাস্তবায়ন হলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ড্যাপ কমিটি থেকে তাদের যে ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিফলন ড্যাপের গেজেটে নেই।
মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে এক মতবিনিময়সভা শেষে সংগঠনের নেতারা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের বসতে হবে, ড্যাপ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনার অনেক বিষয় রয়েছে।
বিজ্ঞাপনড্যাপ কমিটি থেকে আমাদের যে ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিফলন আমরা ড্যাপের গেজেটে পাইনি। আমাদের বলা হয়েছিল ব্যবসাবান্ধব ও গণমানুষের পক্ষে ড্যাপ তৈরি করা হবে, কিন্তু তা হয়নি। এটা গণবিরোধী হয়েছে। ’ তিনি বলেন, ‘ড্যাপ সম্পর্কে বক্তব্যগুলো এমনভাবে এসেছে যে বিল্ডিং তৈরিতে উচ্চতায় কোনো রেস্ট্রিকশন নেই, কিন্তু উচ্চতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে (বিল্ডিংয়ের উচ্চতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে)। ফলে আমাদের কনস্ট্রাকশনের যে কোয়ান্টিটি সেটাও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক ৩০ শতাংশ কমে এসেছে। এটা আমাদের প্রডাক্টের দাম আরো বাড়িয়ে দেবে এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। ’
বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) মহাসচিব মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন বলেন, ‘ড্যাপ মানেই ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান। কিন্তু আমরা প্রাথমিকভাবে দেখেছি এটার মধ্যে প্রচুর ভুল রয়েছে। আমরা অনুরোধ করব, এর ভুলত্রুটিগুলো সংশোধন করে এটাকে গণমুখী ও বাস্তবমুখী করার। ’
ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশের (আইএবি) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘ড্যাপ কমিটির সঙ্গে আমাদের অসংখ্য মিটিং হয়েছে, লাইন বাই লাইন কারেকশন করার কথা বলা হয়েছে। তারা একমতও হয়েছিল কী থাকবে বইতে (ড্যাপে)। কিন্তু যখন আমরা বইটি পেলাম, তখন দেখলাম সেগুলোর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষ প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ছোট ব্যবসা, সে এটা ছেড়ে দিয়ে অন্য ব্যবসায় চলে যেতে পারবে। দেখা যাবে একজন জমির মালিকের আশপাশে বড় বিল্ডিং, কিন্তু তারটা হাইটে ছোট হচ্ছে। যেসব ডেভেলপার অ্যাগ্রিমেন্টে সই করেছেন, জমির বিপরীতে টাকা দিয়েছেন, কমিটমেন্ট করতে হয়েছে জমিতে এতগুলো ফ্ল্যাট হবে, সেগুলোর কী হবে?’