আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com

প্লট-ফ্ল্যাট ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে »

প্লট-ফ্ল্যাট ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেছেন, আবাসন খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যাপক কার্যক্রমে কয়েক দশক ধরে সহজে আবাসনের মালিকানা সৃষ্টি মানুষের মনে আত্মনির্ভরতা তৈরি করেছে। সমগ্র নির্মাণ খাত জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। এ খাতে সরকার হঠাৎ করে যে কর আরোপ করেছে এতে আবাসন ব্যবসায়ীরাই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, সাধারণ মানুষের নিজের একটি প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার সক্ষমতা কমে যাবে। তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। সরকার আয় বাড়ানোর যে পরিকল্পনা করেছে তা-ও বাস্তবায়ন হবে না। কারণ কেনাবেচা যদি কমে যায় কর আসবে কীভাবে? অতিরিক্ত কর আরোপ করার কারণে এ খাতে সরকারের আয় উল্টো কমবে।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, আবাসন খাতে নির্বাচনের বছরে জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনে উৎসে কর ২৪ গুণ বাড়ানো হয়েছে। একসঙ্গে এত বেশি কর বৃদ্ধিকরণে গ্রাহকদের বাস্তবে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশের বেশি কর গুনতে হবে। জমি বা ফ্ল্যাট নিবন্ধনে উৎসে কর অতিরিক্ত বৃদ্ধি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। জমিতে বিনিয়োগ করে লাভজনক না হলে কেউ আর বিনিয়োগ করবে না। অতিরিক্ত কর বৃদ্ধিতে ঢাকা বা বড় শহরে জমিতে বিনিয়োগ করা অলাভজনক মনে করবে। স্বাভাবিকভাবে কেনাবেচা কমবে। সরকার রাজস্ব বাড়ানোর পরিবর্তে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাবে। তিনি বলেন, আবাসন এমন একটি খাত, যেখানে দুই থেকে আড়াই শ লিঙ্কেজ শিল্প জড়িত। এ খাত যদি ভাইব্রেন্ট না থাকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রড, সিমেন্ট, টাইলসসহ বিপুলসংখ্যক শিল্পকারখানা। এতে কর্মসংস্থানও কমবে। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সমগ্র নির্মাণ খাতের অবদান প্রায় ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশের আবাসনশিল্প শুধু আবাসনই সরবরাহ করছে না, এ খাতের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল ২ কোটি লোক। আমাদের আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা অনেক নতুন নতুন সেক্টরে বিনিয়োগ করেছেন বিভিন্ন সময় এবং এখনো করে যাচ্ছেন। ফলে আবাসন খাত অনেক নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করছে। এ খাত দেশের উন্নয়নে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে।

আবাসন ব্যবসায়ীরা বেসরকারিভাবে যদি এগিয়ে না আসতেন তাহলে আমাদের মনে হয় না ঢাকাসহ সারা দেশে এত নান্দনিক ভবন তৈরি হতো। একটি বিষয় অনস্বীকার্য যে, আবাসন খাত এগিয়ে গেলে নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা বাসস্থান পূরণের পাশাপাশি শিল্পকারখানা বিকশিত হবে। ফলে সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি। তিনি বলেন, বর্তমান দর দিয়েই মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা ফ্ল্যাট বা প্লট কেনার কথা ভাবছেন। সরকার সেখানে অতিরিক্ত কর আরোপ করায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর কেউ আর নিজস্ব আবাসন কেনার কথা চিন্তা করতে পারবেন না। আমরা দাবি জানাই, এ কর আরোপ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য। দেশের উন্নয়নে অর্থনীতি ও মানুষের কথা ভেবে এটা প্রত্যাহার করা উচিত। বিডি-প্রতিদিন