প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠক করেছেন। সরকার প্রধানের কাছে ব্যাংকঋণের সুদহার ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নতুন করে সুদহার যাতে না বাড়ে, আমদানিতে নির্ধারিত দরে ডলার প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ আগামী বাজেটে বাস্তবায়নের জন্যও বেশ কিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী নেতারা শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক দফা আলোচনা করেন সালমান এফ রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান, রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)এর প্রেসিডেন্ট মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুও উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ী নেতাদের কথাই বেশি শুনেছেন। নোট নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অল্প কয়েকটি বিষয়ে কথা বলেছেন। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের আলোচনা হয়েছে। তিনি সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। আমরা বেশ কিছু দাবিদাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি।’
বৈঠকে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর প্রেসিডেন্ট মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ড্যাপ এ ফার ইস্যুতে ভবনের উচ্চতা এবং আয়তন কমে যাওয়ায় আবাসন খাতে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। একেক এলাকায় একেক রকম ফার দেওয়াতে নাগরিকদের মাঝে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি এবং নিবন্ধন ব্যয় বৃদ্ধি এই খাতে মারাত্মক সংকট তৈরি করেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান বেশ কিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। তিনি রপ্তানিতে উৎসে কর কমানোর অনুরোধ করেন।
ব্যবসায়ী নেতারা জানান, ব্যাংকঋণের সুদের হার ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসার খরচ বেড়ে যাচ্ছে-এমন উদ্বেগের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান ব্যবসায়ী নেতারা। পাশাপাশি পণ্য আমদানির ঋণপত্র খুলতে আমদানিকারকেরা যাতে নির্ধারিত দরে ডলার পান, সেটি সেটি নিশ্চিত করার দাবিও করেন ব্যবসায়ী নেতারা।