আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
জিডিপিতে আবাসন খাতের ভূমিকা সর্বাধিক

আবাসন খাতের সুদিন ফেরাতে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) পরিবর্তে ২০০৮ সালের নির্মাণ বিধিমালা আবার চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন জাপাস্টি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মোর্শেদ আলম। তিনি বলেন, নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ড্যাপ সংশোধন করার প্রয়োজন। জমি ব্যবহারের দিক বিবেচনায় এনে সমতার ভিত্তিতে ফারের (ফ্লোর এরিয়া রেশিও) বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে।

গতকাল বুধবার একান্ত সাক্ষাৎকারে দেশ রূপান্তরকে মোর্শেদ আলম বলেন, ‘যদিও আবাসন খাতে মন্দা চলছে। তারপরও প্রকল্পের কাজের মান ঠিক রাখা এবং সময়মতো প্রকল্প হস্তান্তর করা, তথা ফ্ল্যাট ক্রেতার সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখার ক্ষেত্রে আমরা ভালো আছি।’

বাংলাদেশের জিডিপিতে আবাসন খাতের ভূমিকা সর্বাধিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভ্যাট, অগ্রিম কর কর্তন এবং ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আবাসন খাত থেকে ব্যাপক রাজস্ব আয় করা হয়। দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই খাতের অবদান ব্যাপক। আবাসন খাতে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুত করা প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থাৎ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা অধিকাংশই আবাসন খাতের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া দেশের এই ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা আবাসনের ব্যবস্থা করে এই খাত অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।

ড্যাপ নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে জানিয়ে জাপাস্টি কোম্পানি লিমিটেডের এমডি বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য ড্যাপের প্রয়োজন রয়েছে। তবে জনগণের আবাসনব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সব এলাকায় জনগণ এবং জমির ব্যবহারের দিক বিবেচনায় এনে সমতার ভিত্তিতে ফারের বিষয়টি নির্ধারণ এবং ২০০৮ সালের নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ড্যাপ সংশোধন করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি।

তিনি আরও বলেন, আবাসন খাতের মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্য ড্যাপ সংশোধন করে ফার সুবিধা বাড়াতে হবে। ২০০৮ সালের নির্মাণ বিধিমালা আবার চালু ও ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন খরচ বাড়ানো ভ্যাটের হার কমাতে হবে। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মালামালের দাম কমাতে হবে এবং সরাসরি কোম্পানি এবং ক্রেতার মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলতে হবে।

শেয়ার করুন