দেশবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু-সংযুক্ত ৩০০ ফুট ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গেই গড়ে উঠছে আবাসন প্রকল্প নতুনধরা, নতুন প্রজন্মের নতুন পৃথিবী। ঢাকার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরত্বে গড়ে ওঠা পরিবেশবান্ধব এই আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে চারটি সরকারি সড়কের সরাসরি সংযোগ রয়েছে।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং সেক্টরে প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, দেশের প্রথম প্রফেশনাল রিয়েল এস্টেট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সাদী-উজ-জামান নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি দেশের প্রথম ‘প্রফেশনাল ডক্টরাল সার্টিফিকেট ইন রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্ট’ অর্জন করেছেন।
তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল্যান্ড ডেভেলপারসের সদস্য। তাঁর সুদক্ষ তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠছে শতভাগ পরিবেশবান্ধব সুপরিকল্পিত এই আবাসন প্রকল্প।
ছবি: সংগৃহীত
নতুনধরা আবাসন প্রকল্পে থাকছে মসজিদ, গোল্ডেন গার্ডেন, ওপেন থিয়েটার, লেক, খেলার মাঠ, বার্ডস পার্কসহ বহু নাগরিক সুযোগ-সুবিধা
মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলার মোট তিনটি ইউনিয়নজুড়ে বিস্তৃত এই আবাসন প্রকল্প। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ছাড়পত্র এবং মূল্যবান ইআইএ অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রকল্প নতুনধরা, যা আবাসন খাতে সবচেয়ে কম সময়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে আস্থা ফেরাতে আপসহীন থেকে অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) কর্তৃক ছাড়পত্র পেয়েছে নতুনধরা অ্যাসেটস লিমিটেড।
রিয়েল এস্টেট আইন-২০০৪ অনুযায়ী, জেলা প্রশাসন কর্তৃক দায়মুক্তি সনদপ্রাপ্তি নতুনধরা আবাসন প্রকল্পের শতভাগ স্বচ্ছতার স্বীকৃতি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিবেশগত অনাপত্তি সনদ ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃক প্রশংসাপত্র রয়েছে এই প্রকল্পের। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল অনুযায়ী, জমি কেনা এবং মিউটেশন করার অনুমোদনপ্রাপ্ত ট্রেডমার্ককৃত প্রকল্প নতুনধরা।
‘নতুনধরা অ্যাসেটস লিমিটেড’ বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেজিস্টার্ড। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের একটি সদস্য প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক কর্মমান নির্ধারণী সংস্থা কর্তৃক আইএসও ৯০০১: ২০১৫ সার্টিফায়েড কোম্পানি এটি।
নতুনধরায় রয়েছে ৫ কাঠা ও ৩ কাঠার প্লট। এই প্রকল্পের প্রতিটি প্লট ‘প্রিমিয়াম প্লট’। সাদী-উজ-জামানের উদ্ভাবিত ও নাম রাখা বহু সুবিধাসংবলিত এই প্রিমিয়াম প্লটে থাকছে তিন দিকে খোলা জায়গা। দুটি প্রিমিয়াম প্লটের মালিকানায় গ্রাহকেরা চার দিক খোলা পাবেন এবং চারটি প্লটের মালিকানায় সর্বমোট পাঁচ দিক খোলা পাবেন।
স্পেশাল ফিচারের এই প্লট তিন দিকে খোলা থাকায় ফ্লোর এরিয়া রেশিওর নীতি অনুযায়ী, ডেভেলপকৃত বিল্ডিংয়ের প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন হবে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
নতুনধরা ইতিমধ্যে আনুমানিক ৫০০ প্লট প্রস্তুত করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যা প্রায় শেষের পথে। আবাসন খাতে গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্লটের বিপরীতে মাত্র ৮০ শতাংশ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে গ্রাহকদের প্লট রেজিস্ট্রি ও অবশিষ্ট ২০ ভাগ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দিচ্ছে নতুনধরা।
নতুনধরা আবাসন প্রকল্পে থাকছে মসজিদ, গোল্ডেন গার্ডেন, ওপেন থিয়েটার, লেক, খেলার মাঠ, বার্ডস পার্কসহ বহু নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। সাদী-উজ-জামান বিশ্বাস করেন, একটি পরিবেশবান্ধব ও সুপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্পে সবার আগে দরকার সঠিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
তাই নতুনধরা আবাসন প্রকল্পে পুরোপুরি প্লট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার আগেই শুরু হয়েছে পাঁচ তারকা মানের ‘নতুনধরা এক্সপ্রেস লাউঞ্জ অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারের নির্মাণ কার্যক্রম, যা নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণে অন্যতম এক বলিষ্ঠ প্রয়াস। প্রথম আলো