দেশে প্রথমবারের মতো ‘ফ্ল্যাট নিবন্ধন ঋণ’ নামে একটি ঋণ কর্মসূচি চালু হচ্ছে। এতে ফ্ল্যাট বন্ধক রেখে নিবন্ধনের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
টাকার অভাবে ফ্লাট নিবন্ধন না হওয়ার কথা মাথায় রেখেই এ ঋণ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)। সংস্থাটির ফ্ল্যাট ঋণ দেশের যেখানে চালু আছে অর্থাৎ ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদরের ফ্ল্যাট মালিকেরা এই নিবন্ধন ঋণ পাবেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশ এবং এর বাইরে অন্যান্য অঞ্চলের জন্য ৯ শতাংশ।
এদিকে, ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে শর্তও ঠিক করেছে বিএইচবিএফসি। শর্ত হচ্ছে, আবাসন (ডেভেলপার) কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কোনো ফ্ল্যাট ক্রেতা সব টাকা পরিশোধ করেছেন কিন্তু নিবন্ধন করেননি, তিনিই এই ঋণ পাবেন। তবে ফ্ল্যাটের মূল দলিল তোলার রসিদ এবং দলিলের সত্যায়িত কপি সংস্থায় জমা রাখতে হবে।
বিএইচবিএফসির কর্মকর্তারা জানান, ফ্ল্যাট নিবন্ধন ঋণ নিতে গেলে আবেদনকারীর নিজের টাকা থাকাটা (ইক্যুইটি) জরুরি নয়। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সংস্থাটির আইন কর্মকর্তারাই হিসাব করে দেবেন নিবন্ধনের খরচ কত আসবে।
তবে জরুরি অন্য একটি বিষয় আছে। বিএইচবিএফসি থেকে ঋণ নিয়ে যে ক্রেতা ফ্ল্যাট কিনেছেন, নিবন্ধন ঋণ নেওয়ার আগে ওই ক্রেতাকে বিএইচবিএফসির কাছে একটি প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। যেখানে বিক্রেতা আবাসন প্রতিষ্ঠান এ মর্মে ক্রেতাকে সনদ দেবে যে, ক্রেতার কাছে ওই আবাসন প্রতিষ্ঠানের আর কোনো পাওনা বাকি নেই। এ–সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র ছাড়া বিএইচবিএফসির নিবন্ধন ঋণ মিলবে না।
কেউ যদি নিজের টাকা দিয়েও ফ্ল্যাটের নিবন্ধন করে ফেলেন, টাকার সংকট থাকলে তিনিও পাবেন এই ঋণ। এমনকি নিবন্ধনের দিনই আবেদনকারীকে এককালীন চেক দিয়ে দেবে বিএইচবিএফসি।
এ ব্যাপারে বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, অর্থমন্ত্রী ফ্ল্যাট নিবন্ধন ঋণের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। এখন শুধু দিন ঠিক করে ঋণ কর্মসূচিটি চালুর ঘোষণা দেব। হতে পারে চলতি সপ্তাহ থেকেই।
সম্পাদনা: এমএন/আরএ/আরবি