আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com
জেনে নিন ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের নোটিশ কিভাবে লেখে

মাসিক ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের নোটিশ
(সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ধারা ১০৬ মোতাবেক)

রাজধানী ঢাকা শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর এবং থানা শহর পর্যন্ত বাড়িয়ালা বাসা/বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকেন এবং প্রয়োজনের তাগিদে ভাড়াটিয়া বাসা/বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। ভাড়া নেয়ার সময় উভয়ের মধ্যে একটি চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়। কিন্তু দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে বাড়িয়ালা-ভাড়াটিয়ার মধ্যে তিক্ততা দেয়া দেয়। চুক্তিভঙ্গের কারণে বাড়িয়ালা ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করতে চায়। কিন্তু এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া হতে হবে আইন অনুযায়ি। এক্ষেত্রে উকিলের মাধ্যমে নোটিশ দিতে হয়। তার পরও বিষয়টি নিজের জেনে রাখা ভাল। তাই আবাসন বার্তার পাঠকদের জন্য এবারে তারই একটি নমুনা তুলে ধরা হলো:

মোহাম্মদ আব্দূল মালেক
পিতা-হুমায়ন কবির
৩২, মিরপুর রোড, ঢাকা।

পক্ষে-মোহাম্মদ মিজুনুর রহমান, এ্যাডভোকেট, ঢাকা জজ কোর্ট, ঢাকা।
……………নোটিশ দাতা

খালেক মন্ডল
পিতা-ইমান হোসেন
ভাড়াটিয়া
…………নোটিশ গ্রহীতা

জনাব,
আমি আমার উল্লেখিত মোয়াক্কেলের পক্ষে তার পরামর্শ অনুযায়ি আপনাকে নোটিশ গ্রহীতা হিসেবে নিম্ন লিখিত নোটিশ প্রদান করছি।

১। আপনি আমার মোয়াক্কেলের নিম্ন বর্ণিত তফসিলভুক্ত বাড়ির মাসিক অস্থায়ী ভাড়াটিয়া বটে। বিগত ০১.০১২.২০১৬ইং তারিখ সম্পাদিত চুক্তিনামা মূলে প্রতি মাস শেষে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে আপনি আমার মক্কেলকে ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য বটে। চুক্তিতে আরও শর্ত থাকে যে, আপনি উক্ত বাড়ির কোন অংশ কাউকে উপ-ভাড়াটিয়া বা সাবলেট হিসেবে পত্তন দিতে পারবেন না।

২। অথচ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আপনি সম্পাদিত চুক্তির শর্তানুযায়ি নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করছেন না। বিগত ৩০.০৬.২০১৭ইং পর্যন্ত মাত্র সাত মাসের ভাড়া পরিশোধ করেছেন বটে। কিন্তু উক্ত সময়ের পর গত ০১.০৭.২০১৭ইং তারিখ হতে বারবার তাগাদা দেয়া সত্বেও আপনি কোন ভাড়া পরিশোধ করছেন না।

৩। বাড়ি ভাড়া বকেয়া হওয়া ছাড়াও চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে আপনি উক্ত বাড়িতে উপ-ভাড়াটিয়া পত্তন করেছেন। এহেন অবস্থাতে আপনি একজন অবাঞ্চিত ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন এবং সে কারণেই আমার মক্কেল আপনাকে উক্ত বাড়ি হতে উচ্ছেদের ইচ্ছা পোষণ করছেন।

৪। এহেন অবস্থাতে আপনি আগামী ০১.১০.২০১৭ইং তারিখের মধ্যে তফসিলভুক্ত গৃহ খালি করে আমার মক্কেলকে বুঝিয়ে দিবে এবং সেই সাথে বকেয়া সমুদয় ভাড়া পরিশোধান্তে তফসিলভুক্ত গৃহটি আমার মক্কেলের দখলে ছেড়ে দেবেন। অন্যথায়, আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ মিজুনুর রহমান
এ্যাডভোকেট

তফসিল
৩২ মিরপুর রোড,
কন্যানপুর, ৪ তলা বাড়ির তিনতলায় উত্তর পাশের ফ্ল্যাট, ফ্ল্যাট নং-বি/২, ঢাকা।