২০২২ সালে তৎকালীন সরকার তড়িঘড়ি করে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর থেকেই স্থবিরতা নেমে আসে আবাসন খাতে। থেমে যায় উন্নয়ন কার্যক্রম। নতুন ড্যাপে বৈষম্যের শিকার হন জমির মালিকরা। ভবনের উচ্চতা এবং ফ্ল্যাট সংখ্যা কমে যাওয়াতে তারা জমি ডেভেলপমেন্ট করছেন না। গেল দুই বছরে আবাসন ব্যবসায়ীরা কোন জমি মালিকের সাথে ভবন তৈরির জন্য কোন এগ্রিমেন্ট সাইন করেন নাই বললেই চলে। এই অবস্থায় আবাসন ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি উঠে ড্যাপ বাতিল অথবা সংশোধনের।
সর্ব প্রথম ড্যাপ বাতিলের দাবি জানায় রিহ্যাব। রিহ্যাব এর নেতৃবৃন্দ গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টার সাথে দেখা করে এই দাবি জোরালো করেন এবং পরে সংবাদ সম্মেলন করে ড্যাপ বাতিলের দাবি জানান। স্থপতিরাও ড্যাপ সংশোধনের দাবি জানান।
গত রবিবার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রিহ্যাব, আইইবি, আইএবি, বিআইপি, পিডব্লিউডি, এনএইচএ, সমন্বয়ক ফোরাম, ডিওএ, ঢাকা সিটি উত্তর, ঢাকা সিটি দক্ষিণ, ডিটিসিএ, স্থাপত্য অধিদপ্তরসহ ১৩টি স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে একটি সভা করে রাজউক। সেখানে বিআইপি ছাড়া বাকি সবাই ড্যাপ সংশোধনের দাবি জানান। সেখানে আবাসন ব্যবসায়ীরা বৈষম্যমূল্যক ড্যাপের বিরুদ্ধে তাদের জোরালো যুক্তি তুলে ধরেন। প্লানারদের সাথে সেখানে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে রাজউক ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সভায় রিহ্যাব নেতৃবৃন্দের দাবির প্রেক্ষিতে “ড্যাপ রিভিউ কমিটি” গঠিত হয়। ইতমধ্যে “ড্যাপ রিভিউ কমিটি” আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর ড্যাপ সংশোধনের জন্য সভা আহ্বান করেছে।
এ প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে ড্যাপ সংস্কার করা হবে।
এ বিষয়ে রিহ্যাব এর সদস্য সাকুরা হোল্ডিংস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ সাদেক বলেন, ড্যাপ সংশোধনের খবরে আমরা খুবই খুশি। রিহ্যাব এর বর্তমান কমিটি সদস্যদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। ফলে তারা ড্যাপ সংশোধনে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা ড্যাপ সংশোধন হলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে ভালো ফল পাওয়া যাবে আবাসন ব্যবসায়। তিনি রিহ্যাব নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য।
এই প্রতিবেদক বেশ কিছু আবাসন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলেছেন, যারা ড্যাপ সংশোধনের খবরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং রিহ্যাব এর বর্তমান নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।