আমাদের মেইল করুন abasonbarta2016@gmail.com

উৎসবমুখর পরিবেশে রিহ্যাবের বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব -

উৎসবমুখর পরিবেশে রিহ্যাবের বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব

জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) বনভোজন ও বর্ণিল পিঠা উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পতিত স্বৈরাচার ও দালাল দোসরদের পতনের পর এবারই প্রথম বহুবছর পর জমজমাট এবং উৎসবমুখর পরিবেশে রিহ্যাবের বার্ষিক এ বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের শ্রীপুরের ফুলে ফুলে ঢাকা গ্রীন ভিউ গলফ রিসোর্টে আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫) বিভিন্ন আনন্দঘন আয়োজনে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

সকাল ১০টার দিকে নবনির্বাচিত রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট (অর্থ) মো: আব্দুর রাজ্জাক, কালচারাল কমিটির চেয়ারম্যান এ এফ এম উবায়দুল্লাহ, পরিচালক সেলিম রাজা পিন্টু, শেখ কামার, ইঞ্জি. মঞ্জুরুল ফরহাদ ফিলিপি, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্সহ রিহ্যাব এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। সকাল ৮ টার আগেই অনেক অনেক অংশগ্রহণকারী পিকনিক স্পটে উপস্থিত হন। লটারিতে মেলার মেগা গিফঠ মোটর সাইকেল জিতেন মোহাম্মদী রিয়েল এস্টেট লি:।

সকালের নাস্তা পর এরপর একে একে অনুষ্ঠিত হতে থাকে উৎসবমুখর বিভিন্ন ইভেন্ট। জুমার নামাজের বিরতির আগ পর্যন্ত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, ৬-৯ বছর পর্যন্ত বালকদের ৩০ মিটার দৌড়, ৯-১২ বছর পর্যন্ত বালকদের ৩০ মিটার দৌড়, ৬-৯ বছর পর্যন্ত বালিকাদের বিস্কুট দৌড়, ৯-১২ বছর পর্যন্ত বালিকাদের বিস্কুট দৌড়, মহিলাদের জন্য পিলো পাসিং ও মার্বেল দৌড়, পুরুষদের জন্য ফুটবল খেলা এবং ক্রিকেট খেলা। রিহ্যাব এর কর্মকর্তারা সুন্দরভাবে সবগুলো ইভেন্ট সম্পন্ন করেন।

মধ্যাহৃ ভোজ বিরতির পর বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৪টা পর্যন্ত চলে সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর উৎসবমুখর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর অন্যান্য শিল্পীরা মনোমুদ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপহার দেন। সঙ্গীতের ফাঁকেফাঁকে চলে লাকী কুপন বিক্রি। প্রথম পুরস্কার ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা ২টি বিমান টিকেটসহ সর্বমোট ২০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া টিভি, মোবাইলসহ আরো পুরস্কার ছিল।

এছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিলো- বাচ্চাদের জন্য বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, মাস্কট (ডোরেমন, মিকি মাউস) ইত্যাদি। মুখরোচক বর্ণিল খাবারের মধ্যে ছিলো, ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা, হাওয়াই মিঠাই, চিকন জিলাপি, খই, মুড়ি, বাতাসা ইত্যাদি।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসবকে সংগঠনের ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রিহ্যাবের অনুষ্ঠানমালা আমাদের ঐতিহ্যের অহঙ্কার। শীতকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব একঘেঁয়েমি জীবনযাত্রা থেকে বের করে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও আত্মার সম্পর্ক সৃষ্টি করবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রিহ্যাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (অর্থ) ও আরমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের দেশে শীতকালীন তথা বনভোজনের অনুষ্ঠানমালা ধর্ম, বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবাই আনন্দের সাথে উদযাপন করে। বার্ষিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব আধুনিক জীবনের অসহনীয় ব্যস্ততা আর দিন যাপনের গ্লানির মধ্যে হাফ ছাড়ার অবকাশ দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এছাড়া রিহ্যাবের কালচারাল স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এ এফ এম উবাইদুল্লাহ ও কো-চেয়ারম্যান ইমদাদুল হকসহ রিহ্যাব পরিচালনা পরিষদের বিভিন্ন পরিচালকবৃন্দ এবং কালচারাল স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপী এ বনভোজন ও পিঠা উৎসবে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য ছিল পুতুল নাচ, বানর খেলা, বায়োস্কোপসহ নানা ধরনের মুখরোচক খাবার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কালচারাল কমিটির চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।