পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি এমন এক ধরনের দলিল যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি তার পক্ষে উক্ত দলিলে বর্ণিত কার্য সম্পাদনের জন্য আইনানুগ ভাবে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট ক্ষমতা অর্পণ করেন।
এই ফরমেট ব্যবহার করে বিশেষ, সাধারণ বা অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি দলিল লেখা যাবে।
১। সম্পাদনের তারিখঃ
২। পাওয়ারদাতা/দাতাগণের নাম ও পরিচিতিঃ
৩। পাওয়ারগ্রহীতা/গ্রহীতাগণের নাম ও পরিচিতিঃ
৪। পাওয়ারদাতা এবং পাওয়ারগ্রহীতা উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের বা জন্ম-নিবন্ধন সনদের বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পাসপোর্ট নম্বর সহ উহার ফটোকপিঃ
৫। দলিলে পক্ষগণের অভিপ্রায় প্রতিফলনের প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ পাওয়ারদাতা কর্তৃক প্রদেয় বিশেষ, সাধারণ বা অপ্রত্যাহারযোগ্য ক্ষমতা এবং পাওয়ারগ্রহীতা কর্তৃক সম্পাদিতব্য দায়িত্ব ও কর্তব্য সমুহের বিস্তারিত বিবরণঃ
৬। স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়, বিক্রয়ের চুক্তি বা ঋণ গ্রহণের বিনিময়ে বন্ধক প্রদান সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রদত্ত হইলে, উহার বিবরণসহ সম্পত্তির তফসিল বর্ননা; অথবা ভূমি উন্নয়ন সংক্রান্ত কোন ক্ষমতা প্রদত্ত হইলে, উহার বিবরণ ও উহাতে সৃজিতব্য প্লটের বা নির্মিতব্য ভবনের বিস্তারিত বিবরণসহ সম্পত্তির তফসিল বর্ণনা; অথবা ভূমি উন্নয়ন ব্যতীত স্থাবর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা কোন ক্ষমতা প্রদত্ত হইলে উহার বিবরবসহ সম্পত্তির তফসিল বর্ণনা; অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সম্পত্তির তফসিল বর্ণনাঃ
৭। ভূমি উন্নয়ন সংক্রান্ত কোন ক্ষমতা প্রদত্ত হইলে, প্রস্তাবিত ভূমি উন্নয়ন কার্য সম্পন্নের পর উহা হইতে অর্জিত যে অংশ পাওয়ারগ্রহীতা প্লট, ইমারত বা স্পেস আকারে বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইবেন উহার বিবরণঃ
৮। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আইনের ধারা ২(২) অনুসারে সম্পত্তির পণমূল্যঃ
৯। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পাওয়ারদাতা কর্তৃক গৃহীত কোন অর্থ, যদি থাকে, বা কোন আর্থিক লেনদেন, যদি হয়, তবে উহার বিবরণঃ
১০। আর্থিক দায় ও দায়িত্ব, যদি থাকে, উহার বিবরণঃ
১১। প্রদেয় ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দিষ্ট মেয়াদ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রেঃ
১২। পাওয়ারদাতা একাধিক হইলে তাহারা যৌথভাবে, বা পৃথকভাবে ক্ষমতা প্রদান করিয়াছেন কিনা উহার বিবরণ; এবং নিযুক্ত এ্যাটর্ণি একাধিক হইলে তাহারা যৌথভাবে বা পৃথকভাবে অথবা যৌথ ও পৃথক উভয়ভাবেই কার্য সম্পাদনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়াছেন কিনা উহার বিবরণঃ
১৩। পক্ষগণের অভিপ্রায় প্রতিফলনের নিমিত্ত অন্য কোন তথ্য বা বিশেষ শর্ত, প্রযোজ্য ক্ষেত্রেঃ
১৪। পাওয়ারগ্রহীতার সম্মতিসূচক স্বাক্ষরঃ
১৫। পাওয়ারদাতা/দাতাগণের নাম ও স্বাক্ষরঃ
১৬। অন্যূন্য ২(দুই) জন সাক্ষীর নাম, পরিচিতি ও স্বাক্ষরঃ
১৭। মুসাবিদাকারী বা লেখকের নাম, পরিচিতি ও স্বাক্ষর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)ঃ
১৮। পাওয়ারদাতা কর্তৃক বা তাহার পক্ষে প্রদত্ত হলফনামাঃ
(রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সনের ১৪২ নং আদেশ, ১৯০৮ সনের রেজিস্ট্রেশন আইনের section 52A(g) এবং ১৮৮২ সনের সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের section 53E অনুসারে প্রদত্ত হলফনামা)
বরাবর,
…………(যে কর্মকর্তার সম্মুখে হলফনামা দাখিল হইবে তাহার পদবি ও ঠিকানাঃ
হলফকারী/হলফকারীগণের নাম, পরিচিতি ও বয়স…..
এই মর্মে ঘোষনা পূর্বক হলফনামা প্রদান করিতেছি যে, আমি/আমরা বাংলাদেশের (বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্য দেশের নাগরিক হইলে উক্ত দেশের নাম) নাগরিক।
আমি/আমরা ঘোষনা করিতেছি যে,
(ক)হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত স্হাবর সম্পত্তি বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সালের পিও নং ৮) এর অধিন ক্রোকের আওতাধীন নহে;
(খ)হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত স্হাবর সম্পত্তি বাংলাদেশ পরিত্যক্ত সম্পত্তি (নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও নিষ্পত্তি) আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সালের পিও নং ১৬) এর অর্থানুযায়ী পরিত্যক্ত সম্পত্তি নহে;
(গ)হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত স্হাবর সম্পত্তি আপাতত বলবত কোন আইনের অধীন সরকারে বর্তায় নাই, বা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয় নাই;
(ঘ) প্রস্তাবিত হস্তান্তর আপাতত বলবত অন্য কোন আইনের কোন বিধানের সহিত সাংঘর্ষিক নহে;
(ঙ) প্রস্তাবিত হস্তান্তর বাংলাদেশ ল্যান্ড হোল্ডিং (লিমিটেশন) আদেশ-১৯৭২(১৯৭২ সালের পিও নং ৯৮) এর অনুচ্ছেদ ৫(এ) অনুযায়ী বাতিলযোগ্য নহে; এবং
(চ) হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাবিত স্হাবর সম্পত্তির বিবরণ সঠিকভাবে বর্নিত হয়েছে এবং উহা অবমূল্যায়ন করা হয় নাই এবং উল্লিখিত সম্পত্তি হস্তান্তরকরনে আবেদনকারীর বৈধ অধিকার রয়েছে।
আমি/আমরা আরও ঘোষণা করিতেছি যে, আমি/আমরা হস্তান্তরিত সম্পত্তির নিরঙ্কুশ মালিক। অন্য কোন পক্ষের সহিত বায়না চুক্তি সাক্ষর করি নাই বা অন্য কোথাও বিক্রয় করি নাই বা অন্য কোন পক্ষের নিকট বন্ধক রাখি নাই। এই সম্পত্তি সরকারী, খাস/অর্পিত বা পরিত্যক্ত সম্পত্তি নয় বা অন্য কোন ভাবে সরকারের উপর বর্তায় নাই। দলিলে বর্ণিত কোন তথ্য ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হইয়া থাকিলে তজ্জন্য আমি/আমরা দায়ী হইব এবং আমার/ আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করা যাইবে। হস্তান্তরিত জমি সম্পর্কে কোন ভুল, অসত্য বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করিয়া থাকলে প্রয়োজনে নিজখরচায় ভুল শুদ্ধ করিয়া ক্ষতিপুরনসহ নুতন দলিল প্রস্তুত ও রেজিস্ট্রি করিয়া দিতে বাধ্য থাকিব। উল্লেখ্য দলিলে হস্তান্তরিত সম্পত্তির মূল্য কম দেখানো হয় নাই।
দলিলে বর্নিত সম্পত্তিতে আমার/আমাদের বৈধ স্বত্ব ও অধিকার বহাল আছে এবং প্রদত্ত বিবরণ আমার/আমাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য। তারিখ…
হলফকারী/হলফকারীগনের স্বাক্ষর ঃ
সনাক্তকারীর ঘোষনাঃ
এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে, হলফকারী/হলফকারীগণ আমার পরিচিত এবং আমার সম্মুখে তিনি/তাহারা দলিলে স্বাক্ষর প্রদান করিয়াছেন(বা আমি তাহার/তাহাদের বা… নং ক্রমিকধারী হলফকারীর নাম বকলমে লিখিয়া দিয়াছি)।
সনাক্তকারীর স্বাক্ষরঃ
১৯। কর্মকর্তার নাম, পদবিযুক্ত সিল ও তারিখসহ স্বাক্ষরঃ
বিঃদ্রঃ
(১) অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮ এর ৫২এ ধারা প্রযোজ্য (পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি আইন-২০১২, এর ৬ নং ধারা অনুসারে)।
(২) ২ ও ৩ নং অনুচ্ছেদে লিপিবদ্ধ বিবরণের পার্শ্বে যথাক্রমে পাওয়ারদাতা ও পাওয়ারগ্রহীতার পাসপোর্ট আকারের সাদা পটভূমিতে সম্প্রতি তোলা রঙিন ছবি সংযুক্তক্রমে উহাতে আড়াআড়ি ভাবে তাহাদের স্ব স্ব স্বাক্ষর ও টিপ প্রদান করিতে হইবে, তবে যদি কেহ নাম স্বাক্ষর করিতে অক্ষম হন, তাহা হইলে তাহার পরিচিত কোন ব্যক্তি দ্বারা তাহার নাম বকলমে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৩) স্থাবর সম্পত্তির বর্ণনা সম্বলিত সাধারণ ও অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পাওয়ারদাতা কর্তৃক বা তাহার পক্ষে হলফনামা প্রদান করিতে হইবে।
(৪) দলিলের প্রকৃতি অনুসারে যে সকল অনুচ্ছেদ প্রয়োজন হইবে না উহার/উহাদের “পার্শ্বে প্রযোজ্য নয়” উল্লেখ করিতে হইবে।
(৫) ‘পরিচিতি’ অর্থ রেজিস্ট্রেশন আইনের section 2 এর sub-section (1) এর সংজ্ঞা অনুসারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচিতি।
(৬) পণমূল্যঃ কোন ভূমি উন্নয়নের নিমিত্ত অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার গ্রহিতা যে অংশ বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষমতা প্রাপ্ত হন উহার বাজার মূল্য এবং পাওয়ার দাতা কর্তৃক গৃহীত কোন অর্থ, যদি থাকে, যাহা দলিলের মূল্য হিসেবে গণ্য হয়।
(৭) রেজিস্ট্রেশন আইনের ৫২এ ধারা নিম্নরূপঃ
[কোন স্হাবর সম্পত্তির বিক্রয় দলিল দাখিল করা হলে, যে পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত বিবরনাদি দলিলে অন্তর্ভূত এবং দলিলের সহিত সংযুক্ত না করা হয়, সেই পর্যন্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দলিলটি নিবন্ধন করবেন না, যথা-
(ক) বিক্রেতা যদি উত্তরাধিকারপ্রাপ্তি ব্যতিত অন্যভাবে সম্পত্তির মালিক হইয়া থাকেন, তাহলে “রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন,১৯৫০” এর অধীন তার নামে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান;
(খ) বিক্রেতা যদি উত্তরাধিকার প্রাপ্তিতে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর অধিন তার নামে অথবা তার পূর্বসূরির নামে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান;
(গ) সম্পত্তির প্রকৃতি ;
(ঘ) সম্পত্তির মূল্য;
(ঙ) সীমানা ও চৌহদ্দিসহ সম্পত্তির একটি নকশা;
(চ) সম্পত্তির মালিকানার গত ২৫ (পঁচিশ) বৎসরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা; এবং
(ছ) এই দলিল সম্পাদনের পূর্বে সম্পাদনকারী সম্পত্তিটি কোন ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করেন নাই এবং উহাতে তাহার বৈধ স্বত্ব বহাল আছে মর্মে দৃঢ়ভাবে ঘোষনা করিয়া একটি হলফনামা।]